শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চন্ডিহারা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বগুড়ার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা কলাবোঝাই ভ্যান-ভটভটিতে করে হাটে কলার কাঁধি নিয়ে আসছেন। এসব কলা হাটে সাজিয়ে বিক্রির জন্য বসছেন চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চন্ডিহারা কলার প্রতি হাটে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ট্রাক কলা ব্যাপারিরা কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন।
কলা চাষি গোলাম রসূল বাংলানিউজকে জানান, কলার বাগান থেকে তিনি চন্ডিহারা হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এনেছেন অনুপম, সাগর ও চম্পা কলা। হাটে এসব কলার চাহিদা বেশি। প্রতি শনিবার ও বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ হাটে চলে কলা বেচাকেনা।
কলা চাষি ইউনুস আলী বলেন, হাটে কলার দাম ওঠা-নামা করে। বর্তমানে হাটে অনুপম কলার কাঁদি ৬০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা, চম্পার কাঁদি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা ও সাগর ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।
বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল এলাকা থেকে হাটে কলা কিনতে এসেছেন ব্যাপারি শাজাহান আলী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কলার ব্যবসা আগের মতো নাই। কলা বিক্রি করে বর্তমানে বেশি লাভ হয় না, কারণ গাড়ি ভাড়া বেশি লাগে। চন্ডিহারা হাটের কলা কিনে রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারিসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করি।
অপর ব্যাপারি হেলাল শেখ বলেন, আগের মতো কলার দাম পাওয়া যায় না। চন্ডিহারা হাট থেকে কেনা কলা তিনি ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও রাজশাহীতে সরবরাহ করেন তিনি।
কলা চাষি মোজাম্মেল, ইউনুস আলী, শফিক মুন্সি, তৈয়ব উদ্দিনসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রতি হাটে বাগান থেকে কলার কাঁধি আনার জন্য আগে থেকেই গাড়ি ভাড়া করে রাখতে হয়। তাদের গাড়ি ভাড়ায় অনেক খরচ হয়ে যায়। দূরত্ব অনুযায়ী গাড়ির ভাড়া মিটিয়ে নিতে হয়। এতে তাদের প্রতি এক কিলোমিটার ভ্যান ভাড়া দিতে হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/