রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাকে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হলে শুধুমাত্র তাদের তথ্যাদি (নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা, চূড়ান্তভাবে বরখাস্তের তারিখ ও কারণ) বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কর্মকর্তার মাধ্যমে কর্পোরেট মেমোরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিএমএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে এন্ট্রি দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করার তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রযোজ্য তথ্যাদি এন্ট্রি দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পক্ষে ডকুমেন্টের কপি বাংলাদেশ ব্যাংকের সচিব বিভাগে পাঠানো হবে।
আদালত বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোনো কর্মকর্তার বর্ণিত শাস্তি শিথিল বা মওকুফ করা হলে ওই কর্মকর্তার তথ্যাদি মুছে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টসের কপিসহ সচিব বিভাগকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে অনুরোধ জানাতে হবে।
এর আগে সিএমএমএস-এ এন্ট্রি হওয়া তথ্যগুলো থেকে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চূড়ান্তভাবে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের তথ্যাদি ছাড়া অন্যান্য তথ্য মুছে ফেলার জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সচিব বিভাগে পাঠাতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে পূর্ব-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সিএমএমএস থেকে আবশ্যিকভাবে যাচাই করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সামগ্রিক উদ্যোগের সহায়ক কৌশল হিসেবে ২০১২ সালে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন করা হয়। ব্যাংকিং সেক্টরে কৌশলপত্রটি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুতকৃত সফটওয়্যার সিএমএমএস-এ স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার তথ্যাদি সংরক্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এসই/জেডএস