ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএমডি হলেন ১২ জিএম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
ডিএমডি হলেন ১২ জিএম

ঢাকা: সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১২ জন মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) পদোন্নতি দিয়ে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাদের নতুন কর্মস্থলের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচএফসি) মহাব্যবস্থাপক মো. জাহিদুল হককে সোনালী ব্যাংকে, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন বাংলাদেশের (আইসিবি) মো. রফিকুল ইসলামকে অগ্রণী ব্যাংকে, জনতা ব্যাংকের মো. জসীম উদ্দিনকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে, অগ্রণী ব্যাংকের শিরীন আখতারকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে, আব্দুল মান্নানকে রাখা হয়েছে কর্মসংস্থান ব্যাংকেই, রূপালী ব্যাংকের মো. কাইসুল হককে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে, সোনালী ব্যাংকের নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে অগ্রণী ব্যাংকে, জনতা ব্যাংকের মোহাম্মদ ইদ্রিছকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে, মো. আব্দুল জব্বারকে রাখা হয়েছে জনতা ব্যাংকেই, আইসিবির কামাল গাজীকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ও মোহাম্মদ শাজাহানকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স করপোরেশনে পদায়ন করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত কর্মকর্তার‍া পদায়নকৃত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে।

প্রথমবারের মতো সরকারি, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা (সাক্ষাৎকার) নেওয়া হয়েছে। আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিয়ে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হতো।

বিদ্যমান নীতিমালা উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি তৈরি করা এক নীতিমালার (খসড়া) আওতায় গত ৭ জুলাই (রোববার) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রার্থীদের এ সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

এ সময় প্রার্থীদের মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিসেস, ডিজিটাল ব্যাংকিং, প্রকল্প ঋণ ব্যবস্থাপনা, খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা ও করপোরেট গভর্ন্যান্স- এই পাঁচটি বিষয়ের যেকোনো একটির ওপর উপস্থাপনা দিতে বলা হয়।

তখন প্রত্যেক প্রার্থীই ১০ নম্বরের জন্য ব্যাংকিংখাতের নির্দিষ্ট এ বিষয়গুলোর মধ্য থেকে একটির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।

এছাড়া বাকি ৯০ নম্বর দেওয়া হয় প্রার্থীদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অভিজ্ঞতা, ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, নেতৃত্বের গুণাবলী, পেশাগত ডিগ্রি, চাকরিজীবনে বহুমুখী অভিজ্ঞতা, পেশাগত দক্ষতা, দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, পেশাগত প্রকাশনা, অর্জিত প্রণোদনা এবং পুরস্কার, ইনোভেশন ও কমিউনিকেশন দক্ষতায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।