এদিকে, বন্দরে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এলসি ভ্যালু বেড়ে ৮৫২ ডলার নির্ধারিত হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে করে বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৭৩ টাকা করে।
খাদিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়বে না। কিন্তু পেঁয়াজের বাজার ভারতীয়রা নিয়ন্ত্রণ করায় এবং আকস্মিকভাবে রপ্তানি কমিয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশে দাম অস্থিতিশীল থাকছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানিতে লসের আশঙ্কায় আতঙ্কিত থাকছেন। পাশাপাশি আগের দেওয়া এলসিগুলোর বিপরীতে ভারতের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি না দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, আগে ৩০০ ইউএস ডলারে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও শনিবার থেকে প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ ৮৫২ মার্কিন ডলারে আমদানি করতে হবে বলে জানায় ভারতীয় কৃষিপণ্য মূল্য নির্ধারণকারী সংস্থ্যা ‘ন্যাপিড’। তবে আগের এলসি করা পেঁয়াজ নতুন রেটের পেঁয়াজের সঙ্গে সমন্বয় করে আমদানি করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানায় ভারতীয় ওই সংস্থাটি।
এদিকে, স্থানীয় পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় দেশের মধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বন্দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩৬-৪০ টাকা পাইকারি মূল্যে কিনলেও সে পেয়াঁজ রোববার বেড়ে হয় ৫৫-৬০ টাকা। এতে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারেও প্রভাব পড়েছে আমাদানি করা পেঁয়াজের দাম। জেলার অধিকাংশ হাট বাজারে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে। তবে বন্দরে রোববার আমদানিকরা পেয়াঁজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমার দাবি করলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারত এলসি ভ্যালু বাড়িয়ে দেওয়ার আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৮৯ ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ আমদানি হয় বলে জানান সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিঙ্কের ডেপুটি পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এনটি