মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ীতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর ৫টি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ুন কবির।
এদিকে, সকাল থেকেই ক্রেতাদের পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে খামারবাড়ীতে। প্রতি ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। এক একটি ট্রাকে ১০০০ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে টিসিবির ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমরা এখানে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছি। প্রতি ক্রেতা দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। আমাদের এক হাজার কেজি পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে খোলাবাজারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন ও সুদের হার কমাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকে চিঠিও পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া বন্দরে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করা ও নির্বিঘ্ন পরিবহন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় গত শুক্রবার পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য তিনগুণ করে ভারত সরকার। এর পরদিনই ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।
অপরদিকে, বন্দরে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এলসি ভ্যালু বেড়ে ৮৫২ ডলার নির্ধারিত হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে করে বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৭৩ টাকা করে। এলসি ভ্যালুর প্রভাবে গত শনিবার ১৫টি, রোববার ৩৪টি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে। এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৩৬-৪০ টাকা থেকে ৫৫-৬০ টাকা উঠে যায়। তবে রোববার ভারত থেকে ৮৬টি পেঁয়াজের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করায় সোমবার পেয়াঁজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস