বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বিপিআই মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজিত হয়। প্রশিক্ষণে প্রথমবারের মতো বসুন্ধরা এল পি গ্যাস লি. অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুবা ফারজানা (পরিচালক, প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট), মো. সামসুল আলম (প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়), ড. মো. আব্দুল হান্নান (বিস্ফোরক পরিদর্শক, বিস্ফোরক পরিদপ্তর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়), ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা (অব.) (মানবসম্পদ প্রধান, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), জেড এম আহমেদ প্রিন্স (হেড অফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), জাকারিয়া জালাল (জিএম, সেলস, বসুন্ধরা এল পি গ্যাস লি.)।
মো. সামসুল আলম, ড. মো. আব্দুল হান্নান এবং প্রকৌশলী জাকারিয়া জালাল আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার আসলে নিরাপদ জ্বালানি, এ বোধটাই আমরা আমাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সবাইকে বোঝাতে চাই। এলপিজি ব্যবহার মানেই সবার মনের মধ্যে বিস্ফোরণের কথা আসে, অথচ বাসা বাড়িতে বৈদ্যুতিক লাইন এবং গাড়িতে সিএনজি সিলিন্ডার থেকেও অধিক নিরাপদ এলপিজি সিলিন্ডার। শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতার। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে এ উদ্যোগ আমাদের এবারই প্রথম, আমরা চাই বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কোম্পানির মতো আরও প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা বলেন, পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এমন প্রশিক্ষণ সত্যিই আমাদের নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকে আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদেরও প্রশিক্ষিত করবো, যেন সবাই এলপিজি ব্যবহারে নিজে সচেতন হতে পারে অন্যদেরও সচেতন করতে পারে।
কর্মশালায় জাকারিয়া জালাল বলেন, এলপিজি দুর্ঘটনা অনুসন্ধানে বিস্ফোরক অধিদপ্তর যতগুলো প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাতে দেখা গেছে, এলপিজির কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। মানুষের অসচেতনতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে বলা হয় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু বলা হয় না কোনটা বিস্ফোরণ হয়েছে। এটা কি এলপিজি, না প্রাকৃতিক গ্যাস। এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার গ্রামের মানুষও ব্যবহার করে। তারা অনেকেই কম জানাশোনা মানুষ। তাই এটার ব্যবহার শেখানোর দায়িত্ব আমাদের, এলপিজি ব্যবসায়ীদের। এলপিজি গ্যাসের জন্য কেমন ঘর লাগবে, জানালা থাকতে হবে কি না, তা আমাদেরকেই বলতে হবে। এ কারণেই বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ফ্রি সার্ভিসিং সেবা চালু করেছে গ্রাহকদের জন্য। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ফ্রি সার্ভিসিং সেবা পাবে।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ছিলেন বসুন্ধরা এল পি গ্যাসের বিপণন, প্রকৌশলী এবং বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এসই/এইচএডি