শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, খিলগাঁও রেলেগেট বাজার, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে বাংলানিউজের চোখে এ চিত্র উঠে আসে।
কিন্তু এ দিন রাজধানীর পাইকারি শ্যামবাজারে দেখা যায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
শুক্রবার রামপুরা, খিলগাঁও, খিলগাঁও রেলেগেট বাজার, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা অন্য সব পেঁয়াজও। যেখানে পাইকারি ও খুচরার মধ্যে বড় ব্যবধান।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তাদের বিক্রি করা পেঁয়াজ আমদানির নয়। সবগুলো দেশি। যদিও তারা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। যেখানে ৬০ টাকা পাইকারি কেজি দর।
পাশাপাশি পাইকারি বাজার উপেক্ষা করে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পার্থক্য রেখে বিক্রি আদা ও রসুন। এসব খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। যা পাইকারিতে ৮০ থেকে ১২৫ টাকা। চায়না রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা পাইকারি বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। যা পাইকারি বাজারে ১১৩ থেকে ১১৫ টাকা।
সবকিছু মিলে দামের বড় পার্থক্যের কথা এক রকম স্বীকার করলেও নানা যুক্তি তুলে ধরছেন খুচরা বিক্রেতারা। তাদের দাবি- খুচরা ও পাইকারির মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। মালামাল আনতে অনেক খরচ হয়। ঘর ভাড়া আছে। এসব বাদ দিয়েই তাদের লাভ রাখতে হয়।
এ বিষয়ে খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা হাসি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাল আনতে গেলে পদে পদে টাকা দেওয়া লাগে বিভিন্ন স্থানে। বাজার থেকে বের হতে গেলে একটা টাকা দিতে হয়, মাল পাহারায় টাকা দিতে হয়, গাড়ি ভাড়া বেশি। আবার মাল আনতে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভ্যান আটকে দিলে, সেখানেও লাগে টাকা। এছাড়া কর্মচারী, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বাদ দিয়ে খুব সামান্য পরিমাণ থাকে, যেটা দিয়ে পরিবার চালাতে হয়।
বিভিন্ন জায়গাতে টাকা দিতে না হলে ব্যবসায়ীরা কম দামেই মাল সরবরাহ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
ইএআর/টিএ