ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ৩৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেলো ৩৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

ঢাকা: বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে ষষ্ঠবারের মতো দেওয়া ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ পেয়েছেন ৩৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ দেওয়া হয়।

এবছর সাধারণ পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে ১০ জন, বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী ৮ জন, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে ১০ জন, রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক ৫টি ও অনাবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন তিনটি একচেঞ্জ হাউজকে ক্রেস্ট, সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চান অর্থমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, বিদেশগামীদের দক্ষতা উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর শ্রমিকরা বিদেশে অনেক বেশি বেতনে কাজ করছে। কারিগরি ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করে বিদেশ যাওয়া ভালো।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য অভিবাসন নীতিমালা করা প্রয়োজন।

বাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, আজ যারা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, তারা বিদেশে আরও বেশি কাজের সুযোগ দিতে সহযোগিতা করলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।  

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সাধারণ পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে কুয়েত প্রবাসী জাকির হোসেন, শিকদার বাচ্চু, যুক্তরাজ্যের ডা আফতাব হোসেন, জার্মানির কামরুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্রের সুকেশ রায়, মালয়েশিয়ার আহমেদ রায়হান সামসী, সিঙ্গাপুরের দেওয়ান মাসুদ কামার, কাতার প্রবাসী ইকবাল হোসেন, নাইজেরিয়ার নওশাদ আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডা ইশা খশনু।  

সাধারণ পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইমরুল হোসেন ভুইয়া, ওমানের রফিকুল আলম, কানাডার মোস্তফা কামাল, সিঙ্গাপুরের সুভাষ চন্দ্র মজুমদার, কাতারের নির্মল কান্তি ঘোষ, কুয়েতের তৌহিদ আহমেদ, সোমালিয়ার নাসের আহমেদ ও আফগানিস্তানের রেজাউল বারী চৌধুরী।  

প্রবাসী ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, আবদুল করিম, মো শাজাহান বাবলু, মোহাম্মদ আব্দুন নুর কাউসার, মো এমাদুর রহমান, মাহবুবুল হাদী ফজলে রাব্বী, নুর মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের আবু তাহের মোহাম্মদ আমানুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের মঞ্জুরুল সোহেল আলম।  

রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক: ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও  জনতা ব্যাংক।

বাংলাদেশি মালিকানাধীন মানি একচেঞ্জ হাউজ: ন্যাশনাল একচেঞ্জ কোম্পানি, এনইসি মানি ট্রান্সফার লিমিটেড ও প্লাসিড এনকে করপোরেশনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল ও সমাপনী বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান।  

প্রবাসীদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক ডা. আফতাব হোসেন ও ইমরুল হোসেন ভুঁইয়া।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে অনুপ্রাণিত সম্মানিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ ২০১৪ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

** প্রবাসীদের সহযোগিতা চাইলেন অর্থমন্ত্রী

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।