সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ডিএসইর এসএমই ও ভি-নেক্সট নামে দুটি অনলাইন প্লাটফর্মের ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ভি-নেক্সটের মাধ্যমে স্মল এবং মিডিয়াম প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
‘ভি-নেক্সটের মাধ্যমে চীন থেকে শুরু করে সব দেশ থেকেই বিনিয়োগ আসবে। এছাড়া আমাদের দেশে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড সেক্রটারিজসহ যেসব দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে, তাতে করে ভবিষ্যত শেয়ারবাজার নিয়ে আমি আশাবাদী। ডিএসই যে এসএমই বোর্ড তৈরি করেছে, এগুলোর কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনা করে উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইস্যু ম্যানেজারদেরকেও তাদের কর্মকান্ড আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনা করতে হবে। ’
খায়রুল হোসেন বলেন, ভি-নেক্সট মার্কেটটি যেন হুজুগের কারণে নষ্ট না হয়। আমার অনুরোধ থাকবে প্রথমদিক থেকেই আপনারা সচেতন থাকবেন। একইসঙ্গে আমরা আশা করব, ডিএসই শীঘ্রই অটোমেটিক ট্রেডিং বোর্ড চালু করবে। যেখানে ওটিসি মার্কেট থেকে শুরু করে বন্ড মার্কেটের ট্রেডিং শুরু হবে। এরমাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ও উন্নত দেশের বাজারের সমতুল্য হবে। এছাড়া আগামি ২-৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার নতুন স্তরে উন্নীত হবে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, জিডিপিতে শেয়ারবাজারের অবদান ২০ শতাংশ। তবে আজকের কর্মকান্ডের মাধ্যমে শীঘ্রই ১০টি কোম্পানির অনুমোদন অক্টোবরের মধ্যেই দেবো। এছাড়া ১৯টি কোম্পানির জন্য চুক্তি বিনিময় হয়েছে। এতে আশা করি শেয়ারবাজারের গভীরতা অনেক বেড়ে যাবে। জিডিপিতে শেয়ারবাজারের অবদান বেড়ে যাবে। আর কম লেনদেনের কারণে স্টক ডিলার ও ব্রোকাররা যে কষ্টে আছে, তা অনেকাংশে কমে আসবে।
‘আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও জাপান বৃহৎ শিল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল। একমাত্র চায়না ছোট ও মাঝারি শিল্প দিয়ে শুরু করেছিল। আমাদের দেশে যেখানে ৬৫ শতাংশ মানুষ ৩৫ বছরের নিচে, সেখানে ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপর নির্ভর করে এগোতে হবে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও কর্মসংস্থান হবে। এই শিল্পকে সচল করতে পারলে ২০৪১ সালের আগেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। ’
খায়রুল হোসেন বলেন, চায়নাকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে নিয়ে আমরা ভাগ্যবান। যারা ছোট ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে পৃথিবীতে অন্যতম অর্থনৈতিক উন্নয়নের দেশ হয়েছে। ডিএসইর প্রধান কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের ভি-নেক্সট প্লাটফর্ম আছে। তাই আমাদেরকে অর্থনীতিতে উন্নয়ন ও জনগণের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপর দাড়াঁতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে চীনকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করা হয়েছিল, সেই সুফল এরইমধ্যে পেতে শুরু করেছি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ও নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডার প্রতিনিধি, চেম্বার প্রতিনিধি, বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি, তালিকা এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রতিনিধি, মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি, ইস্যু ম্যানেজার, অডিটরস ও এসএমই সেক্টরের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএডি