মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় বগুড়া সদরের রেলস্টেশন রোডের ফলপট্টি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে আনারসের মেলা। আনারস ট্রাক থেকে নামিয়ে পসরা সাজানো ও বেচাকেনায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের।
প্রতিদিন পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে আনা আনারস বগুড়ার ১২টি উপজেলার খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য চলে যায়।
আশ্বিনা আনারস নামে খ্যাত মৌসুমের এ আনারস অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ফল বাজারজুড়ে থাকবে। এর আগে জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস পর্যন্ত রমরমা থাকে আনারসের বাজার।
এইচ ডি এম ফল ভাণ্ডারের মালিক মো. খোরশেদ বাংলানিউজকে জানান, বগুড়ার ফল বাজার বর্তমানে আশ্বিনা আনারসে ছেয়ে গেছে। টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে প্রতিদিন বগুড়ায় গড়ে ৪ ট্রাক আনারস আসছে।
প্রতিটি ট্রাকে ৬ হাজার পিস আনারস থাকে। ৪ ট্রাকে সর্বমোট ২৪ হাজার পিস আনারস প্রতিদিন বগুড়ার ১২টি উপজেলাতে বাজারজাত করা হয় বলেও জানান এ ফল ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, প্রতিদিন মধুপুর থেকে আসা আনারসের ট্রাক রাত ৩টা থেকে আনলোড শুরু হয়। সকাল থেকে আনারসগুলো খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি শুরু করে পাইকাররা।
পাইকার ফল ব্যবসায়ী নাহিদ হাসানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বগুড়ার ফলপট্টি থেকেই তারা জেলার সব উপজেলার খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ফল সরবরাহ করেন। টাঙ্গাইল থেকে আনা এ আনারসগুলো আকার আকৃতি ভেদে ৩-৪ ভাগে আলাদা করা হয়। ১ম শ্রেণির আনারস বর্তমানে প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ২য় শ্রেণির ২০ থেকে ২৯ টাকা, ৩য় শ্রেণির ১৫ থেকে ১৯ এবং ৪র্থ শ্রেণির ৭ থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ী আনছার মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন বগুড়ার ফলপট্টির পাইকারদের কাছ থেকে আনারস কিনে তিনি ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রি করেন। দিন শেষে আয় করা টাকায় তার সংসার চলে।
খুচরা এ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ পিস আনারস তিনি বিক্রয় করেন।
পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে লাভের মুখ খুব বেশি দেখতে পাচ্ছেন না। রাস্তায় পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশের চাঁদাবাজিতে ভাড়ায় অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
কেইউএ/এবি/এইচএডি