তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে সিচেলেস সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাসসহ একটি সুশৃঙ্খল ও কাঠামোতে আনতে উভয় দেশ শ্রম সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা যায়।
এতে বলা হয়, পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিচেলেসের রাজধানী ভিক্টোরিয়াতে সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে দেশটিতে বাংলাদেশি জনশক্তি পাঠানোর বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। সিচেলেস সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এমপ্লয়মেন্ট, ইমিগ্রেশন ও সিভিল স্ট্যাটাস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মারিয়াম তেলেমাক।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, চুক্তিটি স্বাক্ষরের ফলে দু’দেশের মধ্যে শ্রম বাজারসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, সিচেলেসে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত আছেন। নির্মাণ শিল্পে অধিকাংশ কর্মী কাজ করে থাকেন। এছাড়া হোটেল, টুরিজম, স্বাস্থ্যসেবা, হাউস কিপিং, কুক, ভিলা এটেন্ডডেন্ট, কৃষি খামার, পোল্টি খামার প্রভৃতি খাতেও বাংলাদেশি কর্মীরা কর্মরত। ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং টুরিজম খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরাই সিচেলেসের বৈদেশিক শ্রম বাজারের অন্যতম প্রধান অংশীদার।
এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে মন্ত্রী ইমরান আহমদ সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় প্রবাসীরা নিজেদের সুযোগ-সুবিধা ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফজলুল করিম, উপ সচিব মোহাম্মদ শাহীন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক (কর্মসংস্থান) ডিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
জিসিজি/টিএ