বুধবার (২৩ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি বিনিয়োগ প্রকল্প, তিনটি কারিগরি ও একটি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩শ ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ১শ ৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ৫৬ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি নির্মাণ শেষ হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও নিশ্চয়তা দিয়েছে মর্মে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়। সভায় নভেম্বরের মধ্যে চলতি অর্থবছরের জন্য বিসিকের সব দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য যাবতীয় দরপত্র প্রক্রিয়া জুন, ২০২০ এর মধ্যে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেয়।
এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতানুগতিক মানসিকতা পরিহার করে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অন্য চাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করছেন। এটি বিবেচনায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাইকে আরও উদ্যমী হতে হবে।
‘প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন কোনো সমস্যা নয়। গুণগতমান বজায় রেখে স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ খরচ করলে সরকার প্রয়োজনে আরও অর্থ বরাদ্দ দেবে। ’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ে গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। পরিহার করতে হবে ছোট-খাট কারণ দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব করার প্রবণতা।
প্রতিমন্ত্রী বিসিকসহ বিভিন্ন সংস্থার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো আকস্মিক পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে শিল্পসচিবকে পরামর্শ ও বিসিকের খালি প্লট প্রকৃত উদ্যোক্তাদের মাঝে দ্রুত বরাদ্দের পাশাপাশি বিসিআইসির বাফার গুদামগুলোর প্রকৃত মজুদ পরিস্থিতি নিরীক্ষা করার তাগিদ দেন।
সভায় শিল্পসচিব বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করতে হবে। যেসব কর্মকর্তা কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পের বাস্তবায়নে ব্যর্থ হবে, তাদের বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিগত অর্থবছরে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে সফল কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
তিনি শেষ মুহূর্তের জন্য কাজ ফেলে না রেখে অর্থবছরের শুরু থেকেই পরিকল্পনামাফিক প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নে প্রকল্প পরিচালকদের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন।
সভায় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
এসময় চাষি পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত বিসিআইসির বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
জিসিজি/এএ