সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়।
সকাল থেকেই পেঁয়াজের ট্রাকের সামনে আগ্রহী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
এদিকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মাত্র এক কেজি পেয়াজপ্রাপ্তিতে অনেক ক্রেতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পেঁয়াজ ক্রেতা শামীম হাসান বলেন, খেটে খাওয়া মানুষ একদিনে যে আয় করছে, এক কেজি পেঁয়াজ কিনতেই তার সিংহভাগ চলে যাচ্ছে। তাই ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করায় মানুষের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমরা চাই সরকারের এ ধারা অব্যাহত থাকুক।
লাভলু শেখ বলেন, ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে এক কেজি পেঁয়াজ পেয়েছি। যদিও আমার কিছু টাকা বেচে গেছে। তারপরও সময় গেছে তিন ঘণ্টা।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, এক ট্রাক পেঁয়াজে বাগেরহাটের মানুষের কিছু হবে না। আরও পেঁয়াজ এনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করলে সরকারের এ উদ্যোগ সফল হবে।
টিসিবির ডিলার মৌরি আইস প্লান্টের মালিক মোহাম্মাদ আলী বলেন, আমাকে ৩ টন পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ মত আমি এ পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ বলেন, আমরা বাগেরহাটের ডিলারকে ৩ হাজার কেজি পেঁয়াজ দিয়েছি। প্রতিদিন এক হাজার কেজি করে বিক্রি করবে। এছাড়া স্থানীয় জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী কম বেশি বিক্রি করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
আরএ