ডিমের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত আছে মাংসের বাজার। অন্যদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে সব ধরনের মাছ।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, মগবাজার, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।
শিম (কালো) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক কেজি সাদা শিম। গাজর (ফ্রেশ) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, গাজর (রেগুলার) ৬০ টাকায়, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ঝিঙা-ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, উস্তি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, বেগুন আকারভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পেঁপে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় এবং কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
অন্যদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শসার বাজার চড়া থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তা কেজি প্রতি ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে শসা (প্রকারভেদে) ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ক্ষিরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া আকারভেদে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও জালিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
বাজারে নতুন আলু এলেও দাম কমেনি মোটেও। উল্টো কেজি প্রতি পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা করে। নতুন আলু (আকারভেদে) ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা শামিম বাংলানিউজকে বলেন, শীতের মৌসুম হলেও পাইকারি বাজারে সবজি কম আসায় দাম বেশি। আমাদের বেশি দামে কিনে, লাভ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে অন্য বছরের এ সময়ে সবজির সরবরাহ বেশি থাকে। দামও অনেক কম থাকে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, বাজারে সরকারি তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সব মালামালের দর-দাম ঠিক করে দেন। এ বিষয়ে এ বাজারের ক্রেতা খাদিজা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সরকারিভাবে বছরের শুরু থেকে বাজার তদারকি করা হলে বাজার সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সে ব্যবস্থা না থাকায় বিক্রেতারাই সব দাম ঠিক করে দেন। আমাদের বাড়তি দামেই কিনতে হয় মালামাল।
দাম বেড়েছে মাছের। মাছভেদে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি (এক কেজি সাইজ) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক সপ্তাহ আগে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছিল ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাচকি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুটি (তাজা) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাশ ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কাতল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে মুরগি ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি বয়লার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা কেজি দরে।
কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিম প্রতি ডজনে পাঁচ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। সাদা ৯০ টাকা। ডজনে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি ডিম ১৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে চাল, ডাল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য।
এদিকে, দেশের বাজারে পেঁয়াজ সংকট দুর্বিষহ আকারে চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। লাফিয়ে বেড়েছে পণ্যটির বাজার দর। সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
আমদানি করা বিদেশি পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমেছিল। তবে সপ্তাহ যেতে না যেতেই নানা অজুহাতে আবারও বাড়ছে এর দর। বর্তমানে গাছসহ দেশি পেঁয়াজ, আমদানি করা মিশর, চায়না পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনও ২৫০ টাকা দেশি পেঁয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
ইএআর/টিএ