ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর জিএসপি প্লাস চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর জিএসপি প্লাস চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগে বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) সুবিধাগুলো আর পাবে না। সে সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ের আট ধাপ এগিয়েছে।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগে তিনি এসব কথা বলেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্রিফ করার কথা থাকলেও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি সভার কথা বলে তিনি বৈঠক থেকে চলে যান। বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংক।

তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও যেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউই) বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা দেয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ষষ্ঠ সংলাপে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে ডায়ালগ একটি চলমান প্রক্রিয়া, ভবিষ্যতে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।

এদিকে সভার শুরুতে বাণিজ্যমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইউই) বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রপ্তানি বাজার। এভ্রিথিক্স বাট আর্মস প্রকল্পের আওতায় ইইউ-এর দেওয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এজন্য ইউই’র কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। গত অর্থ বছরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশ ২২ বিলিয়িন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৫৮ শতাংশ।

তিনি বলেন, ইউই’র সঙ্গে বাণিজ্য করতে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই এ ডায়ালগের উদ্দেশ্য। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবেই এ সভা করা হয়। ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষই উপকৃত হয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ তারিখে এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচটি সেক্টরে কাজ করার জন্য পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কাস্টমস, ফার্মাসিটিক্যালস, ট্যাক্স, ফাইনানসিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বাড়াতে আগ্রহী। এজন্য উভয় পক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে ইউই’র সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।

বাণিজ্যমন্ত্রী  টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন, ইউই’র রাষ্ট্রদূত মিস রেনিস তেরিংকসহ জার্মানি, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
জিসিজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।