স্থানীয় ফ্রিজ বাজারে সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা অর্জনের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী ও টেকসই ব্র্যান্ড ইক্যুইটি তৈরির স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার পান তারা। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদা অর্জন করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ ও ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলমের হাতে ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ তুলে দেওয়া হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের পরিচালক নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, বিশ্বখ্যাত রিসার্চ প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেনের দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রসুন বসু, নিয়েলসেন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদীপ চ্যাটার্জি, ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা ।
কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলোর অর্জিত সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ দেয় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম। নিয়েলসেন বাংলাদেশের অংশীদারি ও দ্য ডেইলি স্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর ১১তম আসর আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা ব্র্যান্ড বাছাই করতে নিয়েলসেনের বিশ্বমানের জরিপ পদ্ধতি ‘উইনিং ব্র্যান্ডস’ অনুসরণে জরিপ চালানো হয়। দেশের সব বিভাগ থেকে ভোক্তারা এ জরিপে অংশ নেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ইনডেক্স, ব্র্যান্ড প্রাধান্য, চিন্তা, পছন্দ, উপযোগিতা, মূল্য প্রিমিয়াম, মার্কেট শেয়ার ইত্যাদি মানদণ্ড বিবেচনায় এ বছর সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের পুরস্কার পায় ওয়ালটন।
পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন ফ্রিজের সিইও প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, এ নিয়ে ছয়বার সেরা রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদা পেলাম। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের জন্য এক বিশাল অর্জন। এ সফলতার বড় অংশীদার হচ্ছে দেশপ্রিমক ক্রেতারা। তারা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য বেছে নিচ্ছেন বলেই বর্তমানে দেশ-বিদেশে একের পর এক মাইলফলক অর্জন করে চলেছে ওয়ালটন। সেরা ব্র্যান্ডের এ স্বীকৃতি ক্রেতাদের হাতে আরও সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমান সম্পন্ন উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ডিজাইনের পণ্য তুলে দেওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন তিনি।
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেটের মতো বিশ্বের সর্বাধুনিক সবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রেফ্রিজারেটরে উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিএসটিআইয়ের ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং, আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট অর্জন করেছে ওয়ালটন। তাই দেশের গণ্ডী পেরিয়ে আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। মানের শ্রেষ্ঠত্বের আত্মবিশ্বাসে ওয়ালটন ফ্রিজে দেওয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
পিআর/আরবি