এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। এসব পাসপোর্ট সরবরাহ করবে ‘আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেড (সাবেক ডিলারু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড)’।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ ক্রয় প্রস্তাবটি গত ২৭ নভেম্বর ক্রয় কমিটি ৬৭ শতাংশ বেশি দাম প্রস্তাব করা হয়ে উল্লেখ ফেরত দেয়। কিন্তু আজকে আগের দাম ও আগের প্রতিষ্ঠানকেই সরবরাহ করার দায়িত্ব দেওয়া হলো।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা সাংবাদিকদের জানান, এখন যে পরিমাণ পাসপোর্ট’র চাহিদা সেটা আমরা পূরণ করতে পারছি না। সারাবিশ্বে আমাদের যে অ্যাম্বাসি রয়েছে তাদের একটাই দাবি তারা সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। আমরা যেভাবে হিসাব করেছিলাম, পাসপোর্ট যারা তৈরি করে সেভাবে দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের কাছে থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। এতে খরচ হবে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা। আমাদের পাসপোর্ট আরও প্রয়োজন। কিন্তু দ্রুত চাহিদা মেটাতে আমরা ২০ লাখ কিনেছি। পাশাপাশি আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি।
কবে থেকে ই-পাসপোর্ট চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। প্রথম দিকে দিনে ৫শ ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে পরে এটি বাড়িয়ে দুই হাজার করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি জানিয়েছে।
কেন একই প্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত দামেই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দাম বেশির বিষয়টি তারা ভুল বুঝিয়েছিল। আমরা হিসাব করেছিলাম একনেকে মূল যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল সেটি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এটার ভেরিয়েশন (মূল্য বেড়েছে) হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিসহ এখন যেটা হয়েছে সেটা হিসাব করতে হবে। কিন্তু আমরা ২৭ নভেম্বরের মিটিং এ ভুল করে একনেকে অনুমোদিত মূল্য হিসাব করেছিলাম।
এদিকে গত ২৭ নভেম্বর ২০ লাখ এমআরপি পাসপোর্ট ক্রয়ের প্রস্তাব এ কমিটিতে উপস্থাপন করা হলে ৬৭ শতাংশ বেশি দাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রস্তাবটি ফেরত দেওয়া হয়। একইসঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাম কমিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
জিসিজি/এএটি