ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দ্রুত আলোর মুখ দেখবে পতেঙ্গা কন্টেইনার ও বে-টার্মিনাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
দ্রুত আলোর মুখ দেখবে পতেঙ্গা কন্টেইনার ও বে-টার্মিনাল

ঢাকা: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দরের ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ (পিসিটি) এবং ‘বে-টার্মিনাল’ এর নির্মাণ কাজ আরও গতিশীল করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল দ্রুত আলোর মুখ দেখবে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল’ প্রকল্পে অপারেটর নিয়োগ ও ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণ প্রকল্পের ওপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য/কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ প্রায় ১২ শতাংশ বাড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পিসিটি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়। পিসিটিতে থাকবে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজসহ ৫৮৩ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি, ২২০ দীর্ঘ ডলফিন জেটি, ৮৯ হাজার বর্গমিটার আরসিসি ইয়ার্ড, ২ হাজার ১২৮ বর্গমিটার কন্টেইনার শুল্ক স্টেশন, ২ হাজার ১৫০ মিটার লম্বা ও ৬ মিটার উচ্চ কাস্টমস বন্ডেড হাউজ, ২ হাজার ৫০০ মিটার রেলওয়ে ট্রাক, ৪২০ মিটার ফ্লাইওভার, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটার মেকানিক্যাল ওর্য়াকশপ এবং ৫ হাজার ৫৮০ বর্গমিটারের অফিস বিল্ডিং।

পিসিটি নির্মাণে পূর্ত কাজের জন্য ১১২৭৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, রেলওয়ে কাজের জন্য ১৪২ কোটি টাকা ও ইক্যুইপমেন্ট ব্যয় ৪৯৬৬০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর বাৎসরিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা চার লাখ টিইইউ’স (বিশ ফুট দৈর্ঘের কন্টেইনার)। নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে সমাপ্ত হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এর জেটিতে একসঙ্গে তিনটি জাহাজের বার্থিং সুবিধা তৈরি হবে।

সভায় আরো জানানো হয়, বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থা পিসিটির অপারেটর (পরিচালনা) কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ করতে সময়সূচি ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং পিপিপি কর্তৃপক্ষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও চবকের সমন্বয়ে একটি প্রজেক্ট টিম গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বে-টার্মিনালের প্রধান কম্পোনেন্ট পাঁচটি। দু’টি কন্টেইনার টার্মিনাল। একটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২২৫ মিটার এবং অপরটির দৈর্ঘ্য ৮৩০ মিটার, ১ হাজার ৫০০ মিটার দৈর্ঘের মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল একটি, পাঁচ কিলোমিটার ব্রেকওয়াটার এবং পরিমাণ মতো ক্যাপিটাল ও মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং। বিভিন্ন দেশ বে-টার্মিনাল প্রকল্পে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাস্টারপ্ল্যান ও ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ করবে।

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।