ঢাকা: করোনার সময়ও দেশের মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে পাঁচ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৫২ শতাংশ। ফলে ক্রেতারা নিত্যপণ্য নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানায় বিবিএস।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ছয় দশমিক শূণ্য আট শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল পাঁচ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) ও মূল্যস্ফীতির হার শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রতিবদনটি তুলে ধরা হয়। রাজধানীর শেরবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান। এ সময় বিবিএস’র মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময়ও জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আশা করছি আগামী মাসগুলোতে আরও কমে আসবে। ’
বিবিএস’র দাবি করোনা কালেও অন্যান্য মাসের তুলনায় মাছ, শাক-সবজি বিশেষ করে আলু, বেগুন, শিম, কুমড়া, গাঁজর, শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধকপি, লাল শাক ও মূলার দাম কমেছে। ফল জাতীয় পণ্যের মূল্যও কম। মসলা জাতীয় পণ্য পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দামও মাসওয়ারী কমেছে বলে দাবি করে বিবিএস।
সেই সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে পাঁচ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ২১ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ১৯ শতাংশ। এছাড়া গ্রাম এবং শহরেও মূল্যষ্ফীতি কমেছে। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমায় সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিবিএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরে কমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এই হার দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৩১ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল পাঁচ দশমিক ৪৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৭৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৯৩ শতাংশে, যা নভেম্বর মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৯০ শতাংশ।
অন্যদিকে গ্রামেও কমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। নভেম্বর মাসে পাঁচ দশমিক ৫৫ শতাংশ থাকলেও ডিসেম্বরে তা কিছুটা কমে হয়েছে পাঁচ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে ছিল ছয় দশমিক শূন্য এক শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে গিয়ে হয়েছে চার দশমিক ৬৭ শতাংশ, যা নভেম্বরে ছিল চার দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এমআইএস/কেএআর