ঢাকা: দেশের এসএমই খাত অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি, যারা জিডিপিতে প্রায় ২৬ শতাংশ অবদান রাখে এবং এ খাতের বিকাশে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে দেশের রপ্তানিমুখী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় সব খাতগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের সহ- সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং সচিব মো. জয়াল আব্দীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, যার আলোকে বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের স্থান ধরে রাখা এবং নতুন বাজার সম্প্রসারণের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ আবশ্যক এবং এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেসরকারিখাত দেশের রপ্তানি এবং বিনিয়োগ অনেকাংশে বাড়াতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, তবে এর আওতায় প্রাপ্ত ঋণ সুবিধা ফেরতের সীমা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কমপক্ষে এক বছর বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তম সময়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন, বাজার সম্প্রসারণে পোশাক খাতের ন্যায় সম্ভাবনাময় রপ্তানিমুখী পণ্যের জন্য আর্থিক ও প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তাসহ ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানি আইনের আওতায়, একক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা ও বিক্রয় সীমা এক কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে আরও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এ সীমা পুনঃবিবেচনাসহ দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের সার্বিক উন্নয়নে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস