বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল বন্দরে এক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যকে লাঞ্চিত, কার্ড বাতিল ও মামলা প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে ৫ ঘণ্টা পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর পুনরায় সচল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে পুনরায় পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি সচল হয়।
জানা যায়, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল থেকে বৈধ আমদানি পণ্যের মধ্যে থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ও কিছু ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসময় আক্তারুজ্জামান আক্তার নামে এক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ আমদানিকৃত পণ্যের মেনিফিশ নম্বর ও ইনভয়েস তোলেন। পরবর্তীকালে আক্তারুজ্জামানকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে নিয়ে একটা কাগজে সঈ নিয়ে কাস্টমস কার্ড সিচ করে নিয়ে রাত ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন এবং কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে অবৈধ পণ্য আনার অপরাধে তার নামে মামলা দিবে বলে জানান। পরে ১৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ওই সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের হয়রানির প্রতিবাদে পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয় এবং কাস্টমস হাউজের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা।
>>>সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীকে হয়রানির প্রতিবাদে বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী আক্তারুজ্জামানের কাস্টমস কার্ড ফিরিয়ে দিয়েছেন ও তার নামে কোনো মামলা হবে না বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার (এডি) ডা. নিয়ামুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। পরে ভারতীয় আমদানি ট্রাকে কোনো প্রকার অবৈধ পণ্য পাওয়া গেলে সেটার দায় ভার সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ দায়ী থাকবে না এবং কাস্টমস সদস্যদের আরো নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে পরবর্তীকালে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এনটি