বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জীবন-জীবিকা বাঁচাও নামে একটি সংগঠনের ৫ দফা দাবি না মানায় দ্বিতীয়বারের মতো আবারও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। তবে এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ রয়েছে পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সংগঠনটির দ্বিতীয়বারের মতো ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে দু'দেশের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই পাশে বন্দর প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত ট্রাক।
সংগঠনটির ৫ দফা দাবিগুলো হলো:
১. অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় হ্যান্ডকুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
২. সাধারণ ব্যবসায়ী এবং মুদ্রা বিনিময়কারী পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়াডিং এজেন্ট ও ট্রাক চালক সহকারীর ওপর বিএসএফ ও অন্য এজেন্সির কর্তৃক নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
৩. বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়া পরিবহনের ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. আধুনিকতার অজুহাতে বন্দরের শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।
৫. বাণিজ্যিক স্বার্থে পূর্বের ন্যায় পণ্যবাহী চালক ও সহকারীদের পায়ে হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত ২১ ডিসেম্বর ভারতীয় সংগঠনটি এই একই দাবি নিয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলো। একদিন পর ২২ ডিসেম্বর সংগঠনটির দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা কর্মবিরতি তুলে নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে সংগঠনটির দাবি পূরণ না করায় তারা আবারো কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বলে তাদের জানিয়েছেন ভারতীয় জীবন- জীবিকা বাঁচাও সংগঠন।
তিনি আরো জানান, তবে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের মুখে পড়েছেন তেমনি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত পণ্য পরিবহন শুরু হবে এমনটি আশা প্রকাশ করেন।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সবাই ক্ষতির মুখে। তবে চলমান সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে যাতে দ্রুত বাণিজ্য সচল হয় তার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এনটি