ঢাকা: বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের গুণগত মান উন্নত হওয়ায় তুরস্কের উদ্যোক্তারা অধিক হারে পাট আমদানিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বারের কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, তুরস্কে কার্পেট প্রস্তুতে বাংলাদেশের উৎপাদিত পাট অন্যতম কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ২০২০ সালে তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাট আমদানি করে, যা দু’দেশের মোট রপ্তানির প্রায় অর্ধেক।
মোস্তফা ওসমান তুরান আরও বলেন, বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিখাতের যন্ত্রপাতি, তথ্য-প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, জ্বালানি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, যেখানে তুরস্কের উদ্যোক্তারা আরও বেশি হারে বিনিয়োগ করতে পারেন। দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে ব্রান্ডিং কার্যক্রম বাড়ানো এবং চেম্বারগুলোর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ়করণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এ সময় ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৮৬.৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সামনের দিনগুলোতে তা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি একই সঙ্গে করোনা মহামারি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে সূতা রপ্তানিতে তুরস্ক আরোপিত এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনায় আনার আহ্বান জানান।
এ সময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ - সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং তুরস্কের দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালায়চি উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
জিসিজি/এমআরএ