ঢাকা: চলতি বছরের জানুয়ারির আগ থেকেও মোটা ও সরু চালের দাম ক্রেতাদের অস্বস্তিতে ফেলে। এরপরও জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য, ২ শতাংশ হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, তামাক, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর মূল্য জানুয়ারি মাসে কমেছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে একনেক সভা শেষে বিবিএসের দেওয়া জানুয়ারির ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য প্রকাশ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চাল নিয়ে অনেক লাফালাফি হয়েছে তারপরও মূল্যস্ফীতি বাড়েনি বরং কমেছে। আশা করি, সামনে আরও কমবে।
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ শমিক ৩৪ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভুত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে জ্বালানি ও আলো, প্রসাধনী, জুতা, পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার নিম্নমুখী হয়েছে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে হয়েছে ৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৪ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৪ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভুত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
এমআইএস/এএটি