ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মীর আখতার হোসেনের শেয়ারকে সর্বোচ্চ দামে ক্রয়াদেশ দিয়ে প্রভাবিত করায় দুটি প্রাতিষ্ঠানিক বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এ ক্রয়াদেশ দেওয়ার কারণে আইডিএলসি সিকিউরিটিজের একজন ট্রেডারকে (অনুমোদিত প্রতিনিধি) সাময়িকভাবে লেনদেন কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে লেনদেন শুরুর আগের প্রাক লেনদেন চলাকালে আইডিএলসি সিকিউরিটিজ থেকে আড়াই লাখ মীর আখতার হোসেনের শেয়ারের অর্ডার দেওয়া এবং দিনের সর্বোচ্চ দাম ১২১. ৫০ টাকা ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। এ ক্রয়াদেশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর দুটি বিও হিসাব থেকে দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তা বিএসইসির সার্ভিলেন্স সফটওয়্যারে চিহ্নিত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিএসইসি থেকে ব্রোকারেজ হাউসটিকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়। পরবর্তীতে ওই ক্রয়াদেশ দু’টি তুলে নেওয়া হয়। আচরণবিধি ভঙ্গ করছে একটি ওয়ার্ক স্টেশন। এজন্য সারাদিন ওই স্টেশনকে ওয়াচে রাখা হয়। এরই ধরাবাহিকতায় যে দুটি প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাব থেকে ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছিল তা জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ক্রয়াদেশ দেওয়ার কারণে একজন ট্রেডারকে সাময়িকভাবে লেনদেন কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছে ব্রোকারেজ হাউজটি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ দামে ক্রয়াদেশ দিয়ে মীর আখতার হোসেনের শেয়ারকে প্রভাবিত করায় দুটি প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাব সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
শেয়ারবাজারে মীর আখতারের লেনদেন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। প্রথম দিনেই শেয়ারটির দাম সর্বোচ্চ সীমায় ওঠে যায়। এ কারণে লেনদেন শুরুর প্রথম দিনের বেশির ভাগ সময়ই এটির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য ছিল। আর দ্বিতীয় দিনে বুধবার লেনদেন শুরুর আগে শেয়ারটি দিনের সর্বোচ্চ দামে ১২১. ৫০ টাকায় ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
এসএমএকে/আরএ