ঢাকা: মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের সব দেশের শ্রম বাজার থেকে সব ধরনের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সিন্ডিকেট পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট, বায়রা। একইসঙ্গে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য বাজার উন্মুক্ত রাখারও দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুখ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়াতে শ্রমিক রপ্তানির চুক্তি ও রপ্তানি প্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ করলে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ২০১৬ সালে সম্পাদিত জিটুজি প্লাস চুক্তিতে মালয়েশিয়ান সরকার ঘোষণা করে, তারা বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর তিন লাখ করে পাঁচ বছরে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে৷ অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হয় জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার টাকা।
ড. মোহাম্মদ ফারুখ বলেন, বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা তিল তিল করে ১৯৮৪ সাল থেকে নিজেদের শ্রম, মেধা, মূল্যবান সময় ও আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে গড়ে তুলে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি শ্রমিকের এই বিশাল বাজার। এক সময় এই বাজারে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ লাখের অধিক। এসব শ্রমিক যাচ্ছে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত সব এজেন্সি কোনো ধরনের বাধা ছাড়া সবাই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী মালয়েশিয়াতে শ্রমিক রপ্তানি করার সুযোগ পেয়েছে। ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার এক মন্তব্যের কারণে বাজারটি বন্ধ হয়ে যায়। বাজারটি যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন রিক্রুটিং এজেন্সির হাতে ৬০ হাজার শ্রমিকের কলিং ভিসা ও ১ লাখের অধিক শ্রমিক রপ্তানির অনুমোদন ছিল। পরবর্তীতে এই কলিং ভিসা ও অনুমোদনের বিপরীতে একটি শ্রমিকও যেতে পারেনি। এর ফলে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের ক্ষতি হয় ৫শ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) নির্বাহী সদস্য রেদওয়ান খান বোরহান, মিনার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে. এইচ গাজী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
ডিএন/এএটি