ঢাকা: ২০২০ সালের বোরো মৌসুমে করোনার কঠিন বিপর্যয়ের সময় ৭৫০ এর বেশি ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার সরবরাহ করে বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে এক বিপ্লব সৃষ্টি করেছে এসিআই মটরস।
কম্বাইন হারভেস্টারের ক্ষেত্রে বিক্রয়োত্তর সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এসিআই মটরসের প্রধান কার্যালয়ে ইয়ানমার সার্ভিস ভ্যানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এসিআই মটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফা হ আনসারী, নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সার্ভিস ভ্যান দু’টি গম ও ধান কাটার মৌসুমে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাবে এবং হারভেস্টার ক্রেতাদের ‘অন দ্যা স্পট’ সার্ভিস দেবে। সার্ভিস ভ্যান দু’টিতে হারভেস্টারের প্রয়োজনীয় স্পেয়ার পার্টস মজুদ থাকবে। প্রতিটি ভ্যান সঠিকভাবে পরিচালনা ও কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করার জন্য একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান সব সময় ভ্যানের সঙ্গে থাকবে।
বাংলাদেশের জমি ও ফসল উপযোগী অত্যাধুনিক সেন্সর বিশিষ্ট ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা কাদা ও শুয়ে পড়া জমির ধান/গম কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করা যায়। এক একর জমির ধান/গম কাটতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা। প্রতি একরে জ্বালানি খরচ হয় মাত্র সাত থেকে আট লিটার ডিজেল। প্রতি একরে খরচ বাদে লাভ হয় সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে চার হাজার টাকা। এতে খরচ বাঁচে ৬১ শতাংশ ও শ্রম বাঁচে ৭০ শতাংশ। এ হারভেস্টার দ্বারা দিনে প্রায় আট একর জমির ধান কাটা যায়। ইয়ানমার মেশিন ব্যবহারে স্বনির্ভর হতে পারেন একজন উদ্যোক্তা। বরাবরের মতো এ মৌসুমেও সরকারি ভর্তুকিতে এ মেশিন পাওয়া যাবে।
এসিআই মটরস সারা দেশব্যাপী তার দক্ষ নেটওয়ার্ক ও লোকবলের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করছে। আশা করা যায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ ইয়ানমার সার্ভিস ভ্যান ব্যবহার করে হারভেস্টার মালিকরা উপকৃত হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২১
আরবি