ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১
এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: বেসরকারিখাতের এনআরবিসি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি।

২০২০ সাল শেষে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে আমানত ছিল সাত হাজার ৫১২ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত এনআরবিসি ব্যাংক ওই বছরের ২ এপ্রিল কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকটির ৮৩টি শাখা, বিআরটিএ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের বুথসহ ৪০০টি উপ-শাখা ও ৫৮৯টি এজেন্ট রয়েছে। গেল বছর শেষে ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ সাত হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা।

দীর্ঘ ১২ বছর পর পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছে ব্যাংকটি। ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে গণপ্রস্তাব চাঁদা গ্রহণ শুরু করছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন।

ব্যাংক সূত্র জানায়, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ব্যাংকটি ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে। প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ১০ টাকা। এ অর্থ দিয়ে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনা, সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও এনআরবিসি ব্যাংক সূত্র জানায়, ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতির এ চাঁদা গ্রহণে আবেদন করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক যোগ্য বিনিয়োগকারীকে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিদ্যমান বাজার দরে অন্তত এক কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। অংশগ্রহণকারী যোগ্য বিনিয়োগকারীদের শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার মধ্যে তাদের সাবস্ক্রিপশনের পুরো টাকা ও সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে তিন হাজার টাকা জমা করতে হবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ব্যাংকের সম্পদের মূল মালিক আমানতকারীরা। তাই ব্যাংকটিকে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছি। এতে আরেকটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে আমরা যাব। ফলে ব্যাংকের সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা আরো সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষদের সার্বিক সেবার আওতায় আনা। এজন্য শাখা নির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি উপ-শাখা, বুথ ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ব্যাপক হারে প্রসার ঘটাচ্ছি। এরইমধ্যে সারা দেশের ৫০০টিরও বেশি স্থানে আমরা সেবা দিচ্ছি।  

ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বরে বিএসইসির অনুমোদন পায় এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড। চলতি মাসের শুরুতে ব্যাংকটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু ও সংক্ষিপ্ত প্রসপেক্টাস প্রকাশের জন্য কমিশনের কাছ থেকে সম্মতিপত্র পায়। ব্যাংকটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ব্যাংকটির নিরীক্ষক হিসেবে রয়েছে কে এম হাসান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা। সর্বশেষ হিসাবে গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৪৮০ কোটি টাকা ও ঋণের পরিমাণ সাত হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। গত বছরের মুনাফা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগের বছর প্রকৃত মুনাফা ছিল ১১৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২১
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।