ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার জন্য পূর্বাচলে একটি স্থায়ী ঠিকানা হলেও, মেলা কবে হবে সেটা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর৷ তাই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চীনা অনুদান সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার’- এর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এছাড়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর মেলা করার জন্য আমরা মানসিকভাবে একটা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সঙ্গে আলোচনা করে সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। এই ব্যাপারে আমরা একটা প্রাথমিক সম্মতিও পেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাকে স্লো করার জন্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন হলে এটা আমরা করবো। ফলে মেলা আয়োজনের পুরো বিষয়টি এখন নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নের ওপর।
‘আশা করি, এই বছর আমরা একটা সুন্দর সময় এ মেলাটি করতে পারব। এবার মেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলে, আগামী জানুয়ারি থেকে মেলা আয়োজন করা হবে। মেলা আয়োজনে পয়লা জানুয়ারি যে ধারাবাহিকতা সেটা আমরা ধরে রাখবো। যেভাবেই হোক এক মাসের নিচে এ মেলা আয়োজন করা সম্ভব না। যেহেতু এখানে দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো অংশ নেয় সেই সাথে রপ্তানি বাণিজ্যও জড়িত রয়েছে। তাই এই মেলা প্রয়োজন অনুযায়ী সময় বৃদ্ধি করা হতে পারে। ’
তিনি বলেন, এখন থেকে বাণিজ্য ও রপ্তানি সংক্রান্ত সব মেলা পূর্বাচলে নির্মিত চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজনে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেটার জন্যই জায়গাটি ঠিক করা হয়েছে। আগামীতে আমাদের এক্সপোর্ট রিলেটেড মেলা ওখানেই হবে। ওই মেলার যে প্রেমেসিস, সেখানে সারা বছর ধরে বিভিন্ন রকমের প্রদর্শনী, অনুষ্ঠান করা হবে। এছাড়া চীন সেখানে তাদের নিজেদেন তৈরি পণ্য নিয়ে বছরে দুইটি মেলা আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে সেক্টর ৪ এর ৩১২ নম্বর রোডের ২ নম্বর প্লটে ২০ একর জমির ওপর নির্মিত বাংলাদেশ-চায়না ফেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্মাণকাজ শুরু ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবরে। নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। সেন্টারে মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার, এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গ মিটার, এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গ মিটার। এক্সিবিশন হলে মোট স্টল/ বুথ সংখ্যা হলো ৮০০টি। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯.৬৭ বর্গমিটার। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে চীনা অনুদান ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি টাকা এবং ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭,২০২১
জিসিজি/এইচএডি