ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে)।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্বব্যাংক। ঋণ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই অর্থের মাধ্যমে ৩৬ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন সুবিধা এবং গ্রামঞ্চলের ৬০ লাখ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায় আসবে। ‘রুরাল ওয়াটার, স্যানিটেশন, হাইজিন (ডব্লিউএএসএইচ) ফর হিউম্যান ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে এ ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৮টি উপজেলায় গ্রামীণ অঞ্চলে পানি এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। এই অর্থে স্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন ও পরিষ্কার পানি পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। এর বাইরেও প্রায় ৩ লাখ ৯ হাজার দরিদ্র পরিবারকে ভর্তুকি দিয়ে স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিন হাজার পরিবারকে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে। নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মের্সি টেম্বন বলেন, প্রকল্পটি ঘরবাড়ি এবং পাবলিক স্পেসগুলোতে মানসম্পন্ন পানি এবং স্যানিটেশন সেবা বাড়ার পাশাপাশি হাত ধোয়ার বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে ভূমিকা রাখবে; যা কোভিড-১৯ ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা এবং নাগরিকদের সুরক্ষায় সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জনসমাগমযুক্ত বাজার এবং বাস স্টেশনগুলোতে প্রায় ৩১২টি পাবলিক টয়লেট এবং ২ হাজার ৫১৪ হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন স্থাপন করা হবে। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ২৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগী এবং চিকিৎসা সেবায় সুবিধা হবে। কোভিড-১৯ মহামারি থেকে জরুরি পানি এবং স্যানিটেশন চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। গত কয়েক দশকে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও উন্মুক্ত মলত্যাগে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, এ প্রকল্পের শহরে বসবাসরত নাগরিকদের পাশাপাশি গ্রামীণ নাগরিকরা নিরাপদ পানি এবং উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা পাবে। এটি বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।