ঢাকা: ২০২০ সালে নৌযানের নাবিকদের মাধ্যমে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের ‘নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২৮তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, মো. মাজহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে ২০২০ সালে বিভিন্ন শ্রেণীর অভ্যন্তরীণ নৌযানের নাবিক এবং সমুদ্রগামী জাহাজের কর্মকর্তা/নাবিকদের মাধ্যমে দেশি ও বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ২০১৯-২০২০ সালে ৩৮ কোটি ১১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আয় হয়েছে বলে জানানো হয়।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর (ডি.জি. শিপিং) এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) কার্যপরিধি, বিভিন্ন কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প ও অডিট আপত্তি; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ছোট আকারে একটি হাসপাতাল/ট্রমা সেন্টার নির্মাণ; এবং বাংলাদেশের সব নদী এবং নৌরুটের অতীত অবস্থার সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সেখানে জানানো হয় যে, দেশের সব নৌযানকে এখনো সার্ভের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কমিটি মনে করে সব নৌযানকে সার্ভের আওতায় আনা সম্ভব হলে নৌযানের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে এবং রাজস্ব বাড়বে। তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব নৌযানকে অনলাইনের মাধ্যমে সার্ভের আওতায় আনা এবং রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে ‘মেকিং বাংলাদেশ— ইউজ বাংলাদেশি প্রডাক্ট’ নীতি অনুসরণ করে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসসি এবং বাংলাদেশি মালিকদের জাহাজে জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
এসকে/এফএম