ঢাকা: তরুণদের মধ্যে সাড়া জাগানো ‘ইউনিবেটর’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মত দেশে শুরু হয়েছে ‘মেন্টর ডেভলোপমেন্ট ক্যাম্প’ (এমডিসি)।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর আইইবির শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) আওতাধীন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প, চুয়েট এবং দ্য ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) বিশেষ উদ্যোগে এবং ইভ্যালির সহযোগিতায় আয়োজিত চার দিনব্যাপী এই বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তৈরি করা হবে ২০ জন ‘স্টার্টআপ মেন্টর’কে। যাদের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরির পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তৈরি করা বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট ও থিসিস পেপার থেকে সফল স্টার্টআপ তৈরির এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছে ৫ হাজারের বেশি তরুণ। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই রেজিস্ট্রেশন চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশনের জন্য এই লিংকে ক্লিক করতে হবে:https://www.unibatorbd.org/
এই আয়োজনে নিজেদের থিসিস, প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে অংশ নিতে পারবেন যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী। দুর্দান্ত সব ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলোকে সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে ব্যবসায় পরিণত করার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
‘ইউনিবেটর এ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের থিসিস বা প্রজেক্ট পেপার থেকে বাছাইকৃত শীর্ষ ১০টি উদ্ভাবনী আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপ দেওয়ার জন্য মাসব্যাপী ইনকিউবেশন শেষে এবং ১০টি আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
‘ইউনিবেটর’ প্লাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হচ্ছে ‘মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প’। প্রথমদিন ১১ ফেব্রুয়ারি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুগলের নেক্সট বিলিয়ন ইউজারে (এনবিইউ) হেড অব অপারেশন বিকি রাসেল।
উদ্ভাবন ও বাণিজ্যিকীকরণ বিষয়ে মেন্টরিং দেন তিনি।
চার দিনব্যাপী এই ‘মেন্টর ডেভলোপমেন্ট ক্যাম্প’ এ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন ফেসবুক, বিভিন্ন ভেঞ্চর ক্যাপিটাল কোম্পানি, শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সরকারি নীতি নির্ধারনী ব্যক্তি ও প্রতিনিধিরা।
গত ২৯ জানুয়ারি, আইইবির শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইনোভেশনভিত্তিক এই আয়োজনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সঠিক দিক-নির্দেশনা দেন।
ইউনিবেটরের মাধ্যমে ১০টি বিজয়ী স্টার্টআপকে ১ মাস ইনকিউবেশন ট্রেনিং দেওয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুত করা হবে। সর্বশেষ ১০টি স্টার্টআপ প্রস্তুত হয়ে গেলে একত্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যম কোম্পানি আকারে ঘোষণা করা হবে। এই নতুন কোম্পানিগুলোকে হাইটেক পার্কের স্থাপনায় অফিস স্পেস দেওয়া হবে এবং প্রত্যেকটি স্টার্ট আপকে ১০ লাখ টাকা প্রাথমিক মূলধন দেওয়া হবে। এছাড়াও শীর্ষ তিনটি স্টার্ট আপ গ্লোবাল কম্পিটিশনে অংশ নেবে। ইউনিবেটর প্রোগ্রামের স্পন্সার হিসেবে রয়েছে ইভ্যালি। এছাড়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রজেক্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
এসএমএকে/এএটি