ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২১
রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব

ঢাকা: ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির সঙ্গে রিকন্ডিশন বা পুরনো গাড়ি আমদানিতে স্পেসিফিক ডিউটি বা সুনির্দিষ্ট শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।  

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হক।

আব্দুল হক বলেন, “অনেক দেশে নির্দিষ্ট শুল্ক আরোপের নজির রয়েছে। সিসি ও মোটরযানের প্রকারভেদে স্পেসিফিক ডিউটি আরোপ করা যেতে পারে। সম প্রকৃতির ব্র্যান্ড নিউ মোটরযানের ওপর আরোপিত স্পেসিফিক ডিউটি থেকে বছর ভেদে ও গাড়ির প্রকারভেদে এক বছর পুরনো ১০ শতাংশ, দুই বছর পুরনো ২০ শতাংশ, তিন বছর পুরনো ৩০ শতাংশ, চার বছর পুরনো ৪০ শতাংশ এবং পাঁচ বছর পুরনো ৫০ শতাংশ হারে অবচয় দেওয়ার আগে রিকন্ডিশন গাড়ির শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করেছি। ”

তিনি বলেন, “ব্র্যান্ড নিউ গাড়ির মূল্য নির্ধারিত হয় আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্যের ভিত্তিতে। এ প্রক্রিয়ায় আন্ডার ইনভয়েসিং এবং বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর তৈরি করে শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা লক্ষণীয়। বৈষম্যের কারণে নতুন গাড়ির চেয়ে পুরনো গাড়ির মোট কর আপতন বেশি দাঁড়াচ্ছে। রিকন্ডিশন গাড়ির শুল্ক বেশি হওয়ায় এ গাড়ির বিক্রি লক্ষ্যণীয়ভাবে কমে যাওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। ”

জাতীয় বাজেটে বিষয়টি বিবেচনার জন্য বারভিডা বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে অবচয় হার পুনঃনির্ধারণ, সিসি স্ল্যাব ও সম্পূরক শুল্কের হার পুনঃবিন্যাস, ফসিল ফুয়েল গাড়ি (সম্পূরক শুল্ক), রিকন্ডিশন গাড়ির সংজ্ঞা নির্ধারণ, অবচয় দেওয়ার উদ্দেশে গাড়ির বয়স গণনা পদ্ধতি সংশোধন, বেশি সংখ্যক যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের আমদানি শুল্ক কমানো, পিকআপ, ডাম্প ট্রাক, ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যালসসহ অন্যান্য বিশেষায়িত মোটরযানের আমদানি শুল্ক কমানো এবং আমদানি রিকন্ডিশন মোটরযান বিক্রি ও বিপণনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভ্যাট দেওয়ার নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত প্রস্তাব করা হয়েছে।  

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “বারভিডার পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব এসেছে, তা রাজস্ব সহায়ক। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হবে।  

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি  সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), জসিম উদ্দিন মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান এবং এনবিআরের পক্ষ থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, শুল্ক নীতি ও আইসিটি বিভাগের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২১ 
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।