ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোলে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণে সময় বাড়ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২১
বেনাপোলে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণে সময় বাড়ছে

ঢাকা: ২৮৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল। রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনতে এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জুলাই মাসে।

২০২১ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন বলে জানায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, এই লক্ষ্যে ব্যয় ব্যতিরেকে প্রকল্পের মেয়াদকাল আরও এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বাড়ছে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (উন্নয়ন) ও যুগ্ম-সচিব মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। কোভিড-১৯ এর কারণে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের ব্যয় একই থাকছে।

প্রকল্পের আওতায় ২৪ দশমিক ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে অবকাঠামো ড্রইং ডিজাইন প্রণয়ন কাজের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ড্রইং ডিজাইন প্রণয়ন সম্পন্ন করে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ আরম্ভ করা হবে বলে জানান তিনি।  

টিনশেড দিয়ে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেনাপোল স্থলবন্দর। দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর এটি। ভারতের সঙ্গে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বেশিরভাগ শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির ৮০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর এই বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। প্রতি বছর প্রত্যক্ষভাবে এখান থেকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়।

প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে মালামাল আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে এবং ভারতে রফতানি হয় ১৫০ ট্রাক মালামাল। বন্দর থেকে ৫০০ ট্রাক মালামাল খালাস হয়ে থাকে। টার্মিনালটি নির্মাণ করা হলে প্রায় এক হাজার ২৫০টি যানবাহন পার্কিং করা সম্ভব হবে।

প্রকল্পের আওতায় ২৯ দশমিক ১০ একর জমি অধিগ্রহণ, ২ লাখ ৪৫৬ হাজার ৯৭ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ২ হাজার ১০০ মিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ৬ হাজার বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গমিটার পার্কিং ইয়ার্ড, ১ হাজার ৭৪৭ বর্গমিটার ভবন নির্মাণ, দুটি মেইন গেট, দুটি গেস্টহাউস ও সিকিউরিটি সিস্টেম, চারটি ওয়াচ টাওয়ার এবং ১ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার ড্রেন নির্মাণ করার কাজ চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।