ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যে নতুন দ্বার খোলার প্রত্যাশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২১
বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যে নতুন দ্বার খোলার প্রত্যাশা

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দ্বার খোলার প্রত্যাশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, রেলপথ চালুর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য সহজ হয়েছে।

বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে, যা উভয় দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।  

রোববার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কক্ষে বাংলাদেশে সফররত ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সচিব অনুপ ধাওয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের দুই পক্ষেরই কিছু সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি। ভারতের সচিব বলেছেন তিনি অত্যন্ত পজিটিভ মুড নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পালন করছি, সেটাকে মাথায় রেখে আমরা চাই আমাদের পুরনো সমস্যাগুলো যেন সমাধান হয়। আমরা যেন সেই সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করতে পারি এবং নতুন চিন্তা ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, কাস্টমসের যে সমস্যা রয়েছে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া দরকার, সেটা তারা বলেছে। বেনাপোল বর্ডারে কিছু সমস্যা রয়েছে, সেটাও তারা বলেছে।  

বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ভারত বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে তারা কথা বলেছে। এছাড়া কয়েকটি সেক্টরের বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ফুড প্রসেসিং, মোটরযানসহ আরও দুই-একটি সেক্টর যেগুলো তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেখানে তারা ইনভেস্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারতের সঙ্গে এখন আমাদের অনেকগুলো ট্রেডের ম্যাটরিয়ালের সুবিধা রয়েছে। আজকে আমাদের সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালে আমাদের গ্রাজুয়েশন হয়ে যাবে, তারপরে হয়তো আরও তিন বছর আমরা জিএসপি প্লাস পেতে পারি। কিন্তু আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও চিন্তা করলে আমাদের প্ল্যান করা জরুরি। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচারের জন্য সেসব পরিকল্পনা নিয়ে আগালে পরবর্তীতে আমাদের সুবিধা হবে। প্রধানমন্ত্রীও চান পিটিএ, এফটিএগুলো আমরা যেন করি, ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা যেন বেনিফিটটা পাই।

হঠাৎ করে বাংলাদেশ ও ভারত ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার আগ্রহ কেন বাড়লো এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়নি, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। তাছাড়া ভারতের দিক থেকে ওরা এবং আমরা ব্যাপারটা বিশেষ করে আমি নিজে উৎসাহী এ ব্যাপারে। যাতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য ডেভেলপ করা যায়। আর এ সুবর্ণজয়ন্তীর সময়টিতে তারাও চায় আমরাও চাই ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত আমাদের স্বাধীনতার সময় বন্ধুর মতো পাশে ছিল এ সময়টা আমরা একটা রেফারেন্স রাখতে চাই। আমরা এ বছরটিতে অনেক কিছু করতে পেরেছি। আজকেও আমি ভারতীয় হাই কমিশনারকে বলেছি ‘তুমি এমন একটি সময়ে আমাদের দেশে আছো যে সময় আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি। এখন আমরা বাণিজ্য চাই। আমাদের বিশেষ করে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল সেখানেও আমরা তাদের ডাকছি। বছরটা আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই। ’

তিনি বলেন, চলমান বর্ডারহাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এ বর্ডার হাটের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করা হবে। যেসব পণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং আরোপ করা আছে, আলোচনার মাধমে সেগুলোর বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান করা হবে।  

ভারতের বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাই স্বামী। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. মহিদুল ইসলাম, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।