ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৮ মার্চ) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদেন বাণিজ্যসচিব ড. জাফর উদ্দীন। অপরদিকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প সচিব মি. অনুপ ধাওয়ান। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণলয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিএসটিআই, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সূচনা বক্তব্যে দুই দেশের দলনেতা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করেন। বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন তার বক্তব্যে মুজিববর্ষ, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ অঙ্গীর তুলে ধরেন। পরে উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচিত হয়।
বৈঠকে যেসব বিষয় আলোচনা হয়েছে: গত ১৫-১৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে নয়াদিল্লি ভারতে অনুষ্ঠিত উভয় দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের সভার সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা; বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বিষয়ে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৩তম সভার অগ্রগতি; দু’দেশের মধ্যকার বিরাজমান ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ।
এছাড়া কিছু বাংলাদেশি পণ্যের উপর ভারত সরকার কর্তৃক আরোপিত এন্টি ডাম্পিং, দু’দেশের মধ্যে কমপ্রিয়েন্সিভ ইকোনমিক পাটনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা। বর্ডার হাটের সংখ্যা সম্প্রসারণ ও সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বন্দর সুবিধা সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাংলাদেশ ও ভারতের অংশ গ্রহণে বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামকে অধিকতর কার্যকর করণ এবং অন্যান্য বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২১
জিসিজি/এনটি