দিনাজপুর: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নম্বর পুনট্রি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় ধানক্ষেতে লোহার খনি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি অনুসন্ধানী দল কূপ খননের কাজেও নেমেছে।
এলাকার বাসিন্দা কেবারউদ্দিন মোল্লার ২৪ শতাংশ ধানি জমিতে খনন কাজের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেবারউদ্দিন মোল্লা জানান, তাকে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের জমি চুকানি (চুক্তি) অনুযায়ী বাজারমূল্যে টাকা দেওয়া হয়েছে। দপ্তরের অনুসন্ধানী দল এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজেও নেমেছে। নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা। খনন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হচ্ছে কেশবপুরে। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ১০ নম্বর পুনট্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুর-এ-কামাল জানান, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (ভূতত্ত্ব) পরিচালক মো. আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন তিনি।
চিঠিতে কেশবপুর এলাকায় জি ডি এইচ-৭৬/২১ কূপ খনন কার্যক্রমে বহিরঙ্গনে অবস্থানকালে কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথ প্রদর্শন প্রদানে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে। এ চিঠি পুলিশ (এসপি) সুপার, চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), চিরিরবন্দর থানাকেও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কূপ খনন কাজে দলপ্রধান হিসেবে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নিহাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নাজমুল হোসেন খান, সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মঞ্জুর আহমেদ এলাহী, ও সহকারী পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. রোকনুজ্জামান।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এই কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর-জিএসবির মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী। আগামী ০২ এপ্রিল উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। কূপ খনন কাজ চলছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ৩-৪ মাস সময় লাগবে। জিএসবির অধীনে প্রকৌশলীসহ ১০ জন কর্মকর্তা এবং ২৩ টেকনিশিয়ান এবং ওয়ার্কার কাজ করছেন। কূপ খনন কাজে এ পর্যন্ত ড্রিলিং মেশিন, পাম্প, রিক পর্যায়ক্রমে আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১
এসআরএস