ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘মহামারির কারণে ব্যাহত পোশাক খাতের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
‘মহামারির কারণে ব্যাহত পোশাক খাতের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া’ ...

ঢাকা: পোশাক খাতের ভ্যালু চেইনের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পর্যায়ে যে মধ্যমেয়াদী পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছিল তা দীর্ঘমেয়াদে চলা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট চাহিদা মন্দার কারণে ব্যাহত হচ্ছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি-আগস্টের সময়কালে বিশ্বব্যাপী পোশাকের আমদানি একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ কমেছে।

শুধুমাত্র জাতীয় স্তরের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এই মধ্যমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাসহ অনেক সরবরাহকারী দেশের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিতে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘ভ্যালু-চেইন-ভিত্তিক সমাধান’ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
 
এই পর্যবেক্ষণগুলো ‘বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার পোশাক খাতের পুনরুদ্ধার: ভ্যালু-চেইন-ভিত্তিক সমাধান কি সম্ভব?’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক সংলাপে উঠে আসে।  

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ভার্চ্যুয়ালি এই সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।  

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ অব শ্রীলঙ্কা (আইপিএস), কলম্বো এবং ৫২টি চিন্তক প্রতিষ্ঠানের আন্তির্জাতিক পর্যায়ের নেটওয়ার্ক সাউদার্ন ভয়েজ-এর সহযোগিতায় এই সংলাপটি আয়োজিত হয়।

মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং আইপিএসের অর্থনীতিবিদ কিথমিনা হিউজ জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে যে, বড় দেশগুলো এই মহামারির সময়ে সীমাবদ্ধ সংখ্যক সোর্সিং দেশগুলোতে বেশি গিয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ক্রেতাদের কাছে থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পরেনি। মাহামারির সময়কালে (জানুয়ারি থেকে জুন ২০২০) ক্রেতারা রফতানি আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি বড় সরবরাহকারী দেশকে বঞ্চিত করেছে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সংলাপে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বক্তব্য দেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এছাড়া সভায় অংশ নেন সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইদুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
এসই/এমআইএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।