ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে তারা আউট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
ই-কমার্সের নিবন্ধন না করলে তারা আউট

ঢাকা: ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিয়ে সকল ই-কমার্স কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। এ সময়ে যারা ই-কমার্সের নিবন্ধন করতে পারবে না তারা ব্যবসা করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। আর যারা নিবন্ধন করবে না তারা আউট। আউট অব দ্যা বিজনেস।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-কমার্স নিয়ে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।  

এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম- উদ্দীন, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্তমর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা হলো ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিটিফিকেশন নম্বর নিতে হবে সকল ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের। এর মাধ্যমে সকলকে একটি নিবন্ধনের মধ্যে নিয়ে আসা। এজন্য তাদের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। আমরা ই-কমার্সকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে চাই। এ বিষয়ে ফুল সার্পোট দেবে আইসিটি ডিভিশন।

আর একটি হচ্ছে সেন্টাল লজিস্টিক ট্রাকিং প্লাটফর্ম (সিএলটিপি) আইনগতভাবে ট্রেক করার জন্য। এটা অনেক টেকনিক্যাল বিষয় মূল উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমাদের এ ব্যবস্থাও করতে হবে। তৃতীয়ত হচ্ছে সেন্টার কপপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যদি কোথাও কোনো অভিযোগ থাকে বা কারো কোনো বিষয় থাকে এসব বিষয় আইসিটি ডিভিশন এগুলো করে দেবে।  

তিনি বলেন, মোটামুটি তিন মাসের মধ্যে এ কাজগুলো করা যাবে। তারপরও আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ফলোআপ দেবে।

ইভ্যালি ছাড়াও আরও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের নিয়ে ভাবনা কী এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা নির্দেশনা এসেছে, ইভ্যালির ব্যাপারে। এটা একটা গাইডলাইন, এটা দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি।  

যুবক ও ডেসটিনির গ্রাহকদের টাকা ফেরত পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুবক ও ডেসটিনির স্থাবর সম্পত্তি আছে, সেই সম্পত্তি তারা নিয়ে যেতে পারেনি, কিছু ক্যাশ তারা নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় সেই সম্পত্তি রিলিজ করা গেলে, সেটার দাম পাওয়া গেলে, আদালত নির্দেশ দিলে দেওয়া যেতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রোপার্টি বেদখল হয়ে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
জিসিজি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।