ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মসলিনে বেসরকারি বিনিয়োগ আহ্ববান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
মসলিনে বেসরকারি বিনিয়োগ আহ্ববান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর

ঢাকা: সাশ্রয়ী মূল্যে বাণিজ্যিকভাবে মসলিন কাপড় সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১ উদযাপন ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় মসলিন হাউস তৈরি করেছি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে মসলিন কাপড় উদ্ধার করতে বলেছিলেন। জামদানি ও মসলিন এই দুইজন বোন। ১৭০ বছর আগে মসলিন হারিয়ে যায়। এটা কেউ উদ্ধার করেননি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশে আমরা আবারও মসলিন কাপড় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এটা আমাদের জন্য বিরাট গর্বের।

তিনি বলেন, আপনারা এই মসলিন হাউজে আসলে দেখতে পারবেন কীভাবে চরকায় কেটে সুতা তৈরি হয়। আগে ৫০০ কাউন্টের কাপড় হতো এখন আমরা সেটা বাড়িয়ে ৭০০ কাউন্ট পর্যন্ত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি আপনারা সে প্রযুক্তি দেখবেন এবং বেসরকারি খাতে এই প্রযুক্তি ব্যবজার করে বাণিজ্যিকভাবে জনসাধারণের কাছে সাশ্রয়মূল্যে পৌঁছাতে পারবেন। বেসরকারি উদ্যোক্তারা এখাতে বিনিয়োগ করলে কম দামে বিশ্বের মানুষ আবার মসলিন কাপড় পাবে।

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার মত দেশকে ভালোবেসে এই কাজগুলো করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিল্প দিয়ে রাজস্ব আসছে। যতো শিল্প গড়ে ওঠবে, ততো রাজস্ব আসবে। উন্নয়ন করতে হলে শিল্পক্ষেত্রে রাজস্ব আনতে হবে।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক টাকা দিতে অস্বীকার জানিয়েছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু তৈরি করছেন। এ জন্য কত বড় সাহস লাগে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা দিয়েছেন পোশাক শিল্পকে, অনেকেই তার সমালোচনা করেছেন। এতো টাকা দিয়ে দেওয়া হলো ওদেরকে। প্রত্যেকে শিল্পকেই প্রধানমন্ত্রী কিছু না কিছু সহযোগিতা করেছেন। পোশাক শিল্প প্রণোদনা পেয়ে চালু ছিল বলেই এখন তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকেটা গার্মেন্টস অর্ডার নিয়ে কুলাতে পারছে না। অর্ডারের পর অর্ডার আসছে। এটার মূলহোতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় যদি আপনাদের প্রণোদনা না দিতো তাহলে আপনারা দাঁড়াতে পারতেন না। প্রধানমন্ত্রী সেই সময় উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন দুর্দিনে শিল্পকারখানাকে বাঁচিয়ে না রাখলে দেশ আগাবে না। একেই বলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা।

অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন তিনি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম। উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমইএ সভাপতি আলী খোকন, বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম আলী, বিজিবিএ সভাপতি ইফতেখার হোসাইন, বিএসটিএমপিআইএ সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।