১০০টি সফল ‘শিপ-টু-শিপ’ ট্রান্সফারের মাইলফলক অর্জন করেছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। এ উপলক্ষে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাসিমুল হাই (সিনিয়র ইডি এবং কোম্পানি সেক্রেটারি, কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সেক্রেটারি ডিভিশন, বসুন্ধরা গ্রুপ), শওকত আকবর (সিওও, ব্যাংকিং ডিভিশন, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা (চিফ হিউমান রিসোর্স অফিসার, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), এম এম জসীম উদ্দিন (সিওও, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং, সেক্টর-এ, বসুন্ধরা গ্রুপ), জাকারিয়া জালাল (হেড অব সেলস, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি.), চৌধুরী একেএম শামসুদ্দীন আহমেদ, (হেড অব প্রজেক্ট অপারেশন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি.), সরোয়ার হোসেন সোহাগ (জিএম, সাপ্লাই চেইন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি.) সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
‘বিএলপিজি ওয়ারিওর’ এবং ‘বিএলপিজি চ্যালেঞ্জার’ ভিএলজিসি (ভেরি লার্জ গ্যাস ক্যারিয়ার) নামে দুইটি বিশেষ জাহাজে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় বহির্নোঙ্গরে বসুন্ধরার লাইটার ভেসেলে নামানো হয় এলপিজি। এই পদ্ধতিতে ব্যয়সঙ্কোচ হওয়ায় পরিবহন খরচ যেমন হ্রাস পায়, পণ্যের দামও সহজলভ্য হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মধ্যস্বত্বভোগীরা এই পদ্ধতিতে সুবিধাভোগ করতে পারে না।
এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়াত সোবহান বলেন, আমাদের দেশে কেউ কখনও চিন্তা করেনি এলপিজি শিপ-টু-শিপ ট্রান্সফার করা যাবে। বসুন্ধরা এলপিজি এমন দুঃসাহসিক কাজ শুধু শুরুই করেনি, বরং ১০০বার শিপ-টু-শিপ ট্রান্সফার করেছে নিজস্ব ভিএলজিসি জাহাজের মাধ্যমে। এই কার্যক্রমটি শুধু আমাদের জন্যই মাইলফলক নয়, বরং বাংলাদেশের এলপিজি ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি দৃষ্টান্ত। আমাদের এই কার্যক্রম চলবেই এবং আমরা আশাবাদী, অতি দ্রুত আমরা লক্ষাধিক শিপ-টু-শিপ ট্রান্সফার অর্জন করতে সক্ষম হবো।
ক্যাপ্টেন রুহুল আমিন বলেন, সত্যিই এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। প্রথমত, সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান স্যারকে ধন্যবাদ আমাকে এবং আমাদের টিমকে সম্মাননা প্রদানের জন্য। পুরো বিশ্বে স্বল্পসংখ্যক ভিএলজিসির মধ্যে বাংলাদেশে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের দুইটি ভিএলজিসি ভেসেল বিদ্যমান। বিশ্বের বুকে আমাদের জন্য এ এক অনন্য অর্জন এবং সত্যিকার অর্থেই আজ ভাইস চেয়ারম্যান স্যারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস শুধু নয় বরং দেশের পরিচিতিতেও এক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
জাকারিয়া জালাল (হেড অফ সেলস, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লি.) এ বিষয়ে বলেন, সাধারণ ভোক্তাদের কাছে, সুলভ মূল্যে, সঠিক সময়ে, গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার আমাদের, তা অক্ষুণ্ন রাখতেই আমাদের এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ। যেহেতু বর্তমানে আমাদের দুইটি ভিএলজিসি এবং কিছু নতুন প্রেসারাইজড ভেসেল যুক্ত হয়েছে, আমরা আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই আরও অধিক শিপ টু শিপ ট্রান্সফারের সম্পন্ন করতে পারবো। এছাড়া আমাদের রয়েছে ৬টি ইনল্যান্ড বা অভ্যন্তরীণ ভেসেল, যেগুলোর সাহায্যে আমরা অতি দ্রুত এলপিজি পণ্য সরবরাহ করে থাকি। এসটিএস অপারেশন এখন দেশে এলপিজি পণ্য পরিবহন এবং অর্থনীতিতে গেম চেঞ্জার হতে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
নিউজ ডেস্ক