ঢাকা: প্যাকেটজাত চালে সমস্যা নেই, তবে সে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বেশি মজুদ রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
সোমবার (০৯ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
খাদ্য সচিব বলেন, আপনারা নিশ্চই জানেন, ২০১১ সালের আমাদের আদেশ আছে যেটা ২০ সালে আমরা কারেকশন করে দিয়েছি যে মিলাররা কতটুকু চাল রাখতে পারবেন বা ১১ সালের আদেশ আছে আড়তদার কতটুকু মজুদ রাখতে পারবেন। এক মেট্রিকটনের অতিরিক্ত যদি মজুদ রেখে আপনি ব্যবসা করতে চান অবশ্যই আমাদের লাইসেন্স নিতে হবে। আমরা এখন আমাদের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসছি। ব্যবসা করুক কিন্তু এক মেট্রিকটনের অতিরিক্ত মজুদ করতে গেলেই লাইসেন্স নিতে হবে।
তিনি বলেন, আড়তদারের যতটুকু নির্ধারিত আছে ৩০ দিন পর্যন্ত এটুকু রাখতে পারবেন এর বাহিরে হলেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের ওটা বাজেয়াপ্ত হবে। তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। তারপর পাইকারি এবং আমদানির বিষয়েও সুস্পস্ট বলা আছে। ইচ্ছা মতো এনে কিন্তু রেখে দেওয়া যাবে না। প্যাকেটজাত চালে সমস্যা নেই, তবে সে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বেশি মজুদ রাখতে পারবে না।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) ভার্চ্যুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত থেকে মতামত পেশ করেন। এছাড়াও বৈঠকে এনবিআর এর চেয়ারম্যান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগেরে সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব অংশ নেন।
সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে, বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে। শুল্কমুক্তভাবে যেন আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। এতে করে কৃষক, বাজার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। 'অভিযানের মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় আনা হচ্ছে মজুদদারদের। কাজেই চাইলেই যাচ্ছে তাই করতে পারবে না কেউ। চাল আমদানির সিদ্ধান্তের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে, এরপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে, কিন্তু চালের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ার ফলে বাজারমূল্য যেমন মজুদদাররাও একটু অসাধু ব্যবসায়ীরাও সুযোগ নিচ্ছে। সার্বিকভাবে নজরদারি ও অভিযান চলতে থাকুক, পাশাপাশি আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করে বাজারে প্রবাহ বাড়ালে বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে। এটাই সবার অভিমত এবং সবাই এই সিদ্ধান্তে সর্বসম্মতি জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস