ঢাকা: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, চীন পণ্যের একটি বিশাল বাজার।
বুধবার (৮ জুন) ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ চীনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত "মেকিং দি মোস্ট অফ মার্কেট এক্সেস ইন চায়না: হোয়াট নিডস টু বি ডান" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। অন্যান্য রপ্তানি পণ্য উৎপাদন করে চীনে রপ্তানি করেই বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে হবে। বিগত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আমরা চীনে রপ্তানি করেছি ৬৮০.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে চীন থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
তিনি বলেন, এ বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। চীন আমরা প্রায় ৯৮ ভাগ পণ্য রপ্তানির ওপর ডিউটি ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ সাল থেকে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করছে। বাংলাদেশ আশা করছে, চীন আরও তিন বছর বাড়িয়ে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত এ বাণিজ্য সুবিধা দেবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ বাণিজ্য সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ বা পিটিএ‘র মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে সুবিধা গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে এরই মধ্যে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়েই চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে।
টিপু মুনশি বলেন, চীনের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে, এ বিনিয়োগ আরও বাড়াতে পারে। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। চীনা শিল্প কলকারখানা বাংলাদেশে রিলোকেট করে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে অন্য দেশে রপ্তানি করা সম্ভব। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এসব সেক্টরের রপ্তানি বাড়ছে। এসব সেক্টরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে দেশের রপ্তানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।
বাংলাদেশ চীনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মুরতজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের অ্যাম্বাসেডর লি জিমিং, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৮,২০২২
জিসিজি/এসআই