ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চূড়ান্ত বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
চূড়ান্ত বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের দাবি

ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজি-বাজারে বিনিয়োগের সুযোগসহ অর্থমন্ত্রীর কাছে বেশ কয়েকটি সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর দফতরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি দাবি সংবলিত চিঠি দিয়েছে সংগঠনটি।

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে চূড়ান্ত বাজেট বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজি-বাজারে বিনিয়োগ, কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো, লভ্যাংশের উপর ট্যাক্স, লভ্যাংশ প্রদান, ও অর্থের যোগান।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ বলছে, অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ কর প্রদান করে বিনা শর্তে শুধুমাত্র পুঁজি-বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজি-বাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে। বাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে, দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।  

প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভূক্ত কোম্পানির করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। দাবিতে বলা হয়েছে, আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ১৫ শতাংশ করার জোর সুপারিশ করছি। এতে বহু নতুন ভালো প্রতিষ্ঠান পুঁজি-বাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা বৃদ্ধি পাবে এবং লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বাড়বে। যার ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।

লভ্যাংশের উপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে যে দাবি করা হয়েছে; তাতে বলা হয়, কোম্পানিগুলো লভ্যাংশের ঘোষণার আগে সরকারকে অগ্রিম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে- সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজি-বাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।  

পুঁজি-বাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি ভালো মুনাফা করা সত্ত্বেও উপযুক্ত লভ্যাংশ প্রদানে গড়িমসি করে। কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার ন্যুনতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণেও সংগঠনটি দাবি জানিয়েছে। উপযুক্ত পরিমাণ লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজি-বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হবে বলেও দাবিতে উল্লেখ করা হয়।

বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের পুঁজি-বাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করার কথাও বলেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটি আরও বলেছে, এ ব্যবস্থা করা হলে পুঁজিবাজারের অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে।

পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে চূড়ান্ত বাজেট অনুমোদনের সময় এসব দাবি বিবেচনার অনুরোধও জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২২
এসএমএকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।