ঢাকা: পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি বেড়েছে, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার সক্ষমতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, বসুন্ধরা(আইসিসিবি)-তে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ মন্তব্য করেন ।
বৃহস্পতিবার(১৬জুন) এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ১৮ জুন পর্যন্ত চলবে আইসিসিবি'তে।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বস্ত্রশিল্পের অবদান তুলে ধরে বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ খুব কম সময়েই টেক্সটাইল শিল্পে উন্নয়ন ঘটিয়েছে। যা দেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখার জন্য ইতিবাচক। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প রপ্তানির মাধ্যমে আয় ৩২ বিলিয়ন ডলার।
ইনটেক্স প্রদর্শনীর গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এমন প্রদর্শনীর গুরুত্ব অনেক। এই প্রদর্শনীর ফলে বাংলাদেশের প্যাশন ও ফ্যাশন ভিন্ন ভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যা বাংলাদেশি সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বও করছে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে।
তিনি আরো বলেন, ইনটেক্স দক্ষিণ এশিয়া বাংলাদেশ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশের বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নের দ্বার আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এতে করে বাংলাদেশের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বস্ত্র ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হলো। যা দেশের বস্ত্রশিল্পের জন্য বড় সুসংবাদ।
দেশের বিনিয়োগ পলিসি শিল্পবান্ধব উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে বিনিয়োগ পলিসি প্রণয়ন করেছে তা শতভাগ শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতের বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব উপেন্দ্র প্রাসাদ সিংহ, বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে.আই. হোসেন এবং বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই ইনটেক্সের আয়োজক ওয়ার্লডেক্স ইন্ডিয়া এক্সিবিশন অ্যান্ড প্রমোশন প্রাইভেট লিমিটেড।
অনুষ্ঠান আয়োজকরা জানান, আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বেই টেক্সটাইল খাতে এক বিশ্বস্ত নাম। মহামারির দুঃসময়েও বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে বৈশ্বিক চাহিদা পূরণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০২১ সাল থেকেই ক্রমবর্ধমান হারে কাজের আদেশ পাচ্ছে বৈদেশিক ক্রেতাদের কাছ থেকে। নতুন অনেক উদ্যোক্তাই এই খাতে বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসছেন।
প্রদর্শনীতে বাংলাদশে, ভারত, কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের প্রায় ১২০টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের জন্য সর্বশেষ অফার প্রদর্শন করবে।
‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়ার’ লক্ষ্য হলো—ক্রেতাদের ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসায়িক মিটিংয়ে যুক্ত করে ব্যক্তিগতভাবে সরবরাহকারীদরে সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আগ্রহকে পুনরুজ্জীবিত করা।
আয়োজকদের আশাবাদ, ‘ইনটক্সে সাউথ এশিয়া’ উদ্ভাবনী এবং চাহদিামতো পোশাক, ফাইবার ও সুতা, পোশাক শিল্পের জন্য আনুষাঙ্গিক সফটওয়্যার ও ইআরপি সলিউশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়তার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে।
করোনা ভাইরাস মহামারির পর আবারও সরাসরি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে চাঙা করতেই এই আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এনবি/এসআইএস