ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খামারের গরু কিনতে আগ্রহ বেশি

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
খামারের গরু কিনতে আগ্রহ বেশি

নীলফামারী: কোরবানির গরু হাটের চেয়ে খামারে কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। ফলে নীলফামারী জেলার কোন হাটই এখনো জমে উঠেনি।

ক্রেতারা ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে খামারের গরু কিনতে ঝুঁকছেন। জেলার প্রতিটি খামারে কোরবানির গরু দরদামে ও ওজনে বিক্রি হচ্ছে। ফলে খামারে জমে উঠেছে কেনাবেচা।  

নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়ার গৃহবধূ রেহানা পারভীন জানান, শহরের মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ডেইরি ফার্ম থেকে ৬৫ হাজার টাকায় কোরবানির গরু কিনেছি। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত খামারে রাখতে পারবো। এ ক্ষেত্রে গরুর পা ভাঙলে বা মারা গেলে খামার কর্তৃপক্ষ সমুদয় টাকা অথবা অন্য গরু কেনার সুযোগ রয়েছে।  শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার শাহনওয়াজ জানান, যেহেতু খামারটি বাড়ির পাশে তাই গরু কেনার পর কোরবানি ও বর্জ্য অপসারণ সব কাজই করে দেবেন খামার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গরুর সুস্থতার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সনদপত্রও দিচ্ছেন। জেলার সৈয়দপুরের বাঁশবাড়ি এলাকার শহীদ আব্দুল কুদ্দুস লেনে গড়ে উঠেছে মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট ও ডেইরি ফার্মটি। এখানে প্রায় ৩০০ গরুকে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। কৃত্রিম কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। ফলে এই খামারের গরু প্রতিবছরই কোরবানি দাতাদের কাছে চাহিদার শীর্ষে থাকে। খামারের গরু দেখাশুনার জন্য ৮ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।  শ্রমিকরা জানান, গরুর খাবার হিসেবে চোকর, জাউ ভাত, ঘাস, মসুর ডাল, খেসারি ডাল, বুটের খোসা, আলু সিদ্ধ দেওয়া হয়। ফলে হৃষ্টপুষ্ট থাকছে গরুগুলো। খামারের মালিক জামিল আশরাফ মিন্টু জানান, মূলত সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি হিসাবে দাম ধরে গরুর ওজনে মূল্য ধরা হয়। এছাড়া বিয়ে, উৎসবের জন্য খামার থেকে সরবরাহ করা হয়।  

তিনি বলেন, খামারে ৪০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। ২০১২ সালে খামারটি গড়ে তোলেন তিনি।  নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট ও ডেইরি ফার্মটি পরিবেশ বান্ধব। এটি নীলফামারী জেলার সবচেয়ে বড় খামার ও ডেইরি ফার্ম। প্রাকৃতিক পরিবেশে গরু লালন-পালনের বিষয়টি অনেকের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে।  

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ডেইরি ফার্মের প্রশংসা করে বলেন, চাকরি নামে সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে শিক্ষিত বেকারদের এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। তিনি খামারটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

এছাড়া জেলার বেশকিছু খামার পুরো গরু ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। যাদের হাটবাজার অভ্যাস নেই কিংবা প্রায় ঠকে থাকেন তারা মূলত ওজন দরে গরু কিনে খামারেই রাখছেন বলে জানা গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।