ঢাকা: চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য শুল্ক কমিয়েছে সরকার। ফলে চাল আমদানি করতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।
এ লক্ষ্যে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য আবেদন ফরম তৈরি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এ ফরমে সোমবার (২৭ জুন) থেকেই আবেদন করতে পারবেন আমদানিকারকরা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ২৭ জুন থেকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চাল আমদানির জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামল। নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ শুল্ক ছাড়ের অনুমোদন পেতে আমদানিকারককে অবশ্যই খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি নেওয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে এনবিআর।
অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভরা বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের কেজি প্রতি দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। চিকন চালের কেজি ৬৫ থেকে ৮০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
জিসিজি/আরবি