সাভার (ঢাকা): পবিত্র ঈদুল আজহার আর বেশি দিন নেই। কোরবানির পশুকে ঘিরে এ ঈদের যত আয়োজন।
তবে হাটের ইজারাদাররা বলছেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যে হাটগুলোতে গরুতে ভরে যাবে। এখন যে গরুগুলো ঢাকায় প্রবেশ করছে সেই গরুগুলো দিয়ে ঢাকার হাটগুলো ভরে ওঠলেও ইজারাদারদের নিজস্ব গরুর পাইকাররা গরু আনা শুরু করলে হাট ভরে ওঠবে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ, নরসিংহপুর, নিরিবিলি ও বাইপাইল কোরবানির পশুরহাটে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। কিছু কিছু হাটে দু-একটা গরু ওঠলেও বেশিরভাগ হাটই একদম ফাঁকা।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সাভার পৌর এলাকায় একটিসহ উপজেলায় মোট ১৫টি কোরবানির হাটের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। হাটগুলোর গত ২৯ জুন বিকেলে উপজেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এরমধ্যে সাভার পৌরসভা এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গেণ্ডায় বালুর মাঠে বসবে সাভার উপজেলার সর্ববৃহৎ পশুরহাট। এছাড়া পাথালিয়ার টাকসুর বালুর মাঠ, কুরগাঁও বটতলা মাঠ, ভাকুর্তার নান্দনিক হাউজিং সোসাইটি বিলামালিয়া মাঠ, শিমুলিয়ার গোহাইলবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ, পাড়াগ্রাম জামে মসজিদ মাঠ, বিকেএসপি প্রাচীর সংলগ্ন মাঠ, সোনার বাংলা ফ্যাক্টরি সংলগ্ন খোলা মাঠ, জিরানি বাজারের উত্তর পাশের পারটেক্স গ্রুপের মাঠ, আশুলিয়ায় কুটুরিয়া আদর্শ সংঘ, বাইপাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের পতিত জমি, ধামসোনার ডেণ্ডাবর আকবর আলীর টেকের মাঠ, ফারুক নগর ইসমাইল ব্যাপারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ঘোড়াপীর মাজার সংলগ্ন মাঠ, বগাবাড়ী বাজার সংলগ্ন (দক্ষিণ বাইপাইল) বসুন্ধরা মাঠ, পবনারটেক বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মাঠ, ইয়ারপুরে নরসিংহপুর বটতলায় পশুরহাট বসবে।
ইয়ারপুরে নরসিংহপুর বটতলা পশুরহাটের ইজারাদার নুরুল আমিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হাট প্রস্তুত করেছি আরও দুদিন আগে। আমাদের এখানে স্থানীয় গরুর চাইতে উত্তর বঙ্গের গরুই বেশি ওঠে। আমাদের পাইকাররা গিয়ে গরু কিনে আনেন। এছাড়া অনেক গরুর ট্রাক সাইন বোর্ড দেখে হাটে আসে। এবার এখনো গরু আশা শুরু করেনি। তবে দু-একদিনের মধ্যে হাট জমজমাট হয়ে যাবে।
টাকসুর মাঠে হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীর হোসেন জুলহাস বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিন ধরে হাট প্রস্তুত করে রেখেছি। যে গরুর আশা করেছি তা এখনো পাচ্ছি না। আজ বিকেল ও কালকের মধ্যে হাট জমজমাট হবে বলে আশা করছি। হাটে গরুর চিকিৎসাসহ খামারিদের থাকার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সাভারে ২৫ হাজারের মতো কোরবানিযোগ্য গরু প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঈদের আগে এখানে গরু আসবে। তাই চাহিদার কোনো ঘাটতি হবে না কোরবানির পশুতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
এসএফ/আরবি