ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমে উঠেছে মসলার বাজার, খুচরায় দাম চড়া!

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
জমে উঠেছে মসলার বাজার, খুচরায় দাম চড়া!

ঢাকা: ভোজন রসিক বাঙালির রান্নার সুস্বাদু খাবারে জন্য মসলার বিকল্প নেই। সব তরকারিতেই কম বেশি মসলার ব্যবহার হয়ে থাকে।

আর যে কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে মসলার চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। আর কোরবানির ঈদ উৎসবে মসলার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। সেই অনুযায়ী এ বছর মসলার আমদানিও ভালো হয়েছে।

দেশে বন্যা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মসলার চাহিদা ছিল কম। ফলে এবার ঈদকেন্দ্রিক মসলার পাইকারি বাজার কিছুটা স্থিতিশীল। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর হু হু করে দাম বাড়েনি মসলার। কিন্তু রাজধানীতে খুচরা দোকানগুলো নানা অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মসলা।

রাজধানীর মৌলভীবাজার, কাপ্তান বাজার, ঠাটারী বাজার, কারওয়ান বাজারের মসলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি মসলা বাজারের চেয়ে খুচরা বিক্রেতারা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজারে ভারতীয় জিরা বিক্রি হতে দেখা গেছে প্রতিকেজি ৩৬০-৩৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি আফগানি জিরা ৪০০ টাকা কেজিতে মিলছে। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮০-৪০০ টাকা, ধনিয়া ১৬০-২০০ টাকা, তেজপাতা ২২০-২৫০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০-৮০০ টাকা, সাদাফল (এলাচ) ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা ও লবঙ্গ ১ হাজার ৬০ থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকা। আর প্রতিকেজি আলু বোখারা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, জায়ফল প্রতিকেজি ৫৮০-৫৯০ এবং  প্রতিকেজি যৌত্রিক ২ হাজার ৩৮০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত একমাস ধরে মসলার দাম একই রয়েছে। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়েনি। উল্টো জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ ও এলাচের দাম কমেছে।

অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে মসলার চাহিদা কমে গেছে। এছাড়া মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে মসলার বাজারে। মানুষ যেটুকু খরচ কমানোর চেষ্টা করছে, তার মধ্যে তেল ও মসলার ব্যবহার কমানোর চেষ্টায় রয়েছে।

জুরাইন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, ক্রেতারা খুব কম পরিমাণেই নিচ্ছেন মসলা। বেশিরভাগ ক্রেতা ১০০-২০০ গ্রাম করে মসলা কিনছেন।

খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ক্রেতারাই মসলার দোকানে আসছেন। তবে খুচরায় প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচ ২৪০-২৫০ টাকা, গোলমরিচ ১০০-১১০ টাকা, দারুচিনি ৫০-৫৫, লবঙ্গ ১৪০-১৫০, জিরা ৪৮-৫২, ধনিয়া ২০-২৫ ও তেজপাতা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় পাইকারি থেকে খুচরা দামের পার্থক্য অনেক বেশি।

জুরাইন বাজারের খুচরা বিক্রেতা মামুন শেখ বলেন, বেশিরভাগ মসলা ঈদ ছাড়া অন্য সময় বিক্রি কম হয়। কিন্তু বিনিয়োগ করতে হয় বেশি। নষ্টও হয়। তাই খুচরায় মসলার দাম একটু বেশি।

অনেক খুচরা ব্যবসায়ীর দাবি, এক সপ্তাহ ধরে পাইকারিতে মসলার দাম বাড়ছে। এর মধ্যে জিরার দামটাই বেশি। এছাড়া শুকনা মরিচ, ধনিয়া ও তেজপাতা রয়েছে।

জুরাইন বাজারে মসলা কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, দোকান মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। নানা অজুহাতে তারা দাম বাড়ায়। অনেকে আবার ঈদ মৌসুমে শুধু মসলার ব্যবসা করেন। সরকারের উচিত তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।