খুলনা: খুলনার পশুর হাটে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বড় গরু পালনকারীরা।
শনিবার (৯ জুলাই) বিকেলে খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সব ধরনের গরুর সরবরাহ থাকলেও সব থেকে বেশি চাহিদার তালিকায় রয়েছে মাঝারি সাইজের গরুর।
শেষ দিকে এসে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা ও বেপারীদের পদচারণায় জমে উঠছে পশুর হাট। তবে বড় অনেক ষাঁড়ের প্রত্যাশিত দাম ওঠেনি। হাটে বড় গরু কিনতে আসা ক্রেতা নেই বললেই চলে। গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে তাকে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে জানান খামারিরা। দাম নিয়েও রয়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিন্নমত। ক্রেতাদের দাবি সাধ্যের বাইরে চাওয়া হচ্ছে দাম। আর বিক্রেতারা বলছেন, বিক্রি করার মতো দাম করছেন না ক্রেতারা।
দিঘলিয়া থেকে গরু নিয়ে হাটে আসা রোমেল নামের এক খামারি বলেন, তিন দিন আগে যখন বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি নিয়ে এসেছিলাম তখন দাম উঠেছিল সাড়ে ৪ লাখ। সাড়ে ৬ লাখ দাম বলেছিলাম। কিন্তু এখন সেই সাড়ে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাচ্ছি তবে ক্রেতা পাচ্ছি না।
তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মনিরামপুরের শিমুল হোসেন বলেন, ৯টি ষাঁড় নিয়ে এসেছিলাম। মাঝারি সাইজের ৭টি বিক্রি হয়ে গেছে। বড় দুইটি রয়েছে। ভীষণ চিন্তায় আছি যদি বিক্রি না হয় তাহলে এত বড় ষাঁঢ় আবার খামারে ফেরত নিতে হলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
ফুলতলার নাজমুল নামে এক খামারি বলেন, আমাদের বিশাল আকৃতির গরুটির দাম হেঁকেছি ৮ লাখ টাকা। কিন্তু কাক্ষিত ক্রেতা মিলছে না। হাটে আসা খামারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এদিকে হাটে জাল নোট ঠেকাতে টাকা শনাক্তকরণ মেশিন বসানো হয়েছে।
নগরীর জোড়াগেট ও ফুলবাড়িগেট ছাড়াও জেলার ফুলতলা উপজেলা সদর, দিঘলিয়া উপজেলার যোগীপোল, পথেরবাজার, এম এ মজিদ কলেজ, মোল্যাডাংগা, তেরোখাদা উপজেলা সদরের ইখুড়ীকাটেংগা, রূপসা বাসস্টান্ড, দাকোপ উপজেলার চালনা, লাউডোব, পাইকগাছা উপজেলার বাকা, গদাইপুর, চাঁদখালী, কাশিমনগর, ডুমুরিয়া উপজেলার শাহাপুর, খর্নিয়া, আঠারমাইল, কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি, বামিয়া, বটিয়াঘাটা উপজেলা সদর, খারাবাদ-বাইনতলা, বরোআড়িয়া ও ভান্ডারকোট পশুর হাটে শেষ মুহূর্তে পশু বিক্রির চাপ বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২২
এমআরএম/এএটি